পদ্মা সেতু
১১ মার্চ ২০১৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দক্ষিণ কোরীয় দু'টি কোম্পানি স্যামসাং ও ডেইলিম এবং চীনা কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ৷ মঙ্গলবার সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগ মন্ত্রী জানান, ‘‘কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক প্রস্তাব পরীক্ষা করে দেখবে৷ উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে বিবেচনায় নিয়ে কার্যাদেশ দেয়া হবে৷'' তিনি আরও জানান, সেতু নির্মাণে আর্থিক প্রস্তাব দেয়ার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়৷ যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘৩টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আগামী ৩রা এপ্রিলের আগে তাদের আর্থিক প্রস্তাব দেবে৷ তবে তার আগেও দিতে পারে৷''
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য প্রাথমিকভাবে একটি সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে৷ তবে এটি আমরা এখনো লক করে রেখেছি৷ তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দিলে তাদের হিসাবের সাথে এটি মিলিয়ে দেখা হবে৷''
বিশ্বব্যাংক যেভাবে পরিকল্পনা, নকশা করেছিল সেটাকে সামনে রেখেই সেতুর কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী৷
৬.১৫ কিমি দৈর্ঘের ৩ বিলিয়ন ডলারে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ প্রত্যাহার করে৷ তাদের এই সেতু প্রকল্পে ১.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার কথা ছিল৷ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অন্য উন্নয়ন সহযোগীরাও পিছটান দেয়৷ বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগের এখনো তদন্ত করছে৷
বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রত্যাহার করে নেয়ার পর সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য অভ্যন্তরীণ উত্স থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়৷ আগামী বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য ৮১ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ আর চলতি বাজটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৮.৫২ মিলিয়ন টাকা৷ সরকারে মনোভাব হলো, যদি কোনো উন্নয়ন সহযোগী এই সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ দেখায়, তাহলে স্বাগত জানানো হবে৷ তবে কাউকে অনুরোধ করা হবেনা৷
এদিকে যে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে ঋণ প্রত্যাহার করেছে, সেই অভিযোগের তদন্ত এখনো চলছে৷ এমনকি অভিযোগের আঙুল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দিকে থাকায় তাঁকে তখনই মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়৷ আর এবার নতুন মন্ত্রিসভায় তার ঠাঁই হয়নি৷ দুর্নীতি দমন কমিশন জানায়, তাঁরা তাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন৷ কারা সেতু প্রকল্পে ঋণ দিলো বা না দিলো, তাতে তদন্ত গতি হারাবেনা৷