1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মা সেতু

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১১ মার্চ ২০১৪

পদ্মা সেতু নির্মাণে ৩টি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ প্রতিষ্ঠান ৩টি আগামী এপ্রিলে আর্থিক প্রস্তাব দেবে৷ বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রত্যাহারের পর সময়ের কারণে এ সেতু প্রকল্পের ব্যয় কিছুটা বাড়বে৷

https://p.dw.com/p/1BNMR
ছবি: DW

৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দক্ষিণ কোরীয় দু'টি কোম্পানি স্যামসাং ও ডেইলিম এবং চীনা কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ৷ মঙ্গলবার সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগ মন্ত্রী জানান, ‘‘কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক প্রস্তাব পরীক্ষা করে দেখবে৷ উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে বিবেচনায় নিয়ে কার্যাদেশ দেয়া হবে৷'' তিনি আরও জানান, সেতু নির্মাণে আর্থিক প্রস্তাব দেয়ার জন্য তাদের কাছে চিঠি দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়৷ যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘৩টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আগামী ৩রা এপ্রিলের আগে তাদের আর্থিক প্রস্তাব দেবে৷ তবে তার আগেও দিতে পারে৷''

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য প্রাথমিকভাবে একটি সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে৷ তবে এটি আমরা এখনো লক করে রেখেছি৷ তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দিলে তাদের হিসাবের সাথে এটি মিলিয়ে দেখা হবে৷''

বিশ্বব্যাংক যেভাবে পরিকল্পনা, নকশা করেছিল সেটাকে সামনে রেখেই সেতুর কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী৷

৬.১৫ কিমি দৈর্ঘের ৩ বিলিয়ন ডলারে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ প্রত্যাহার করে৷ তাদের এই সেতু প্রকল্পে ১.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার কথা ছিল৷ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অন্য উন্নয়ন সহযোগীরাও পিছটান দেয়৷ বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগের এখনো তদন্ত করছে৷

Bündel von US Dollarnoten Symbolbild Geld Währung Geldscheine
বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রত্যাহারের পর সময়ের কারণে এ সেতু প্রকল্পের ব্যয় কিছুটা বাড়বেছবি: picture-alliance/John Greve

বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রত্যাহার করে নেয়ার পর সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য অভ্যন্তরীণ উত্‍স থেকে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়৷ আগামী বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য ৮১ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ আর চলতি বাজটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৮.৫২ মিলিয়ন টাকা৷ সরকারে মনোভাব হলো, যদি কোনো উন্নয়ন সহযোগী এই সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ দেখায়, তাহলে স্বাগত জানানো হবে৷ তবে কাউকে অনুরোধ করা হবেনা৷

এদিকে যে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে ঋণ প্রত্যাহার করেছে, সেই অভিযোগের তদন্ত এখনো চলছে৷ এমনকি অভিযোগের আঙুল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দিকে থাকায় তাঁকে তখনই মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়৷ আর এবার নতুন মন্ত্রিসভায় তার ঠাঁই হয়নি৷ দুর্নীতি দমন কমিশন জানায়, তাঁরা তাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন৷ কারা সেতু প্রকল্পে ঋণ দিলো বা না দিলো, তাতে তদন্ত গতি হারাবেনা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য