1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মা সেতু

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন চুক্তি সই হতে যাচ্ছে ২১শে ফেব্রুয়ারি৷ আর এর মধ্য দিয়ে এই সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক বিদায় নিচ্ছে৷ যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই তথ্য দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/13xOo
পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিদায় নিচ্ছে বিশ্বব্যাংকছবি: picture-alliance/dpa

তিনি আশা করেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে৷ বিশ্বব্যাংক চাইলে ২য় পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন করতে পারবে৷

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা স্থগিত করে গত বছর৷ এর পরই এই সেতু প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের টানাপোড়েন শুরু হয়৷ ইতিমধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে৷ অভিযোগের তদন্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক৷ তবে দুদক তাদের তদন্তে এই সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কোন প্রমাণ পায়নি৷

আর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বব্যাংক যদি তাদের অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারে তাহলে তাদের অর্থ নেয়া হবে না৷ আর এরমধ্যেই সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের বিকল্প পথ খুঁজতে থাকে৷ গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে পদ্মা সেতু নির্মাণে আগ্রহ দেখায়৷ আর সেই আগ্রহ বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে৷

যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশর চুক্তি সই হবে ২১শে ফেব্রুয়ারি৷

যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এই সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা আর নিতে চায় না সরকার৷ তবে বিশ্বব্যাংক চাইলে ২য় পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থ সহায়তা করতে পারে৷

ওবায়দুল কাদের জানান, চু্ক্তি সইয়ের পর যত দ্রুত সম্ভব পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে৷ আর আগামী এক বছরের মধ্যে সরকার ২য় পদ্মা সেতুর কাজও শুরু করতে চায়৷

৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ ধরা হয়েছিল ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার৷ এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি ডলার৷ এছাড়া এডিবি, জাইকা ও আইডিবি এই সেতু প্রকল্পে অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ বিশ্ব ব্যাংক ছাড়া অন্যদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি যোগাযোগ মন্ত্রী৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য