তুরস্ক-সিরিয়া
২৪ জুন ২০১২শুক্রবার জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর সিরিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো, তুর্কি বিমানটি সিরিয়ার সীমান্তের ভেতর ঢুকে পড়েছিলো৷ তাই আত্মরক্ষার তাগিদে গুলি চালানো হয়৷ এমনকি শনিবার তুরস্কের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিলো যে, তাদের জঙ্গি বিমানটি সিরিয়ার সীমানার ভেতর ঢুকে পড়লেও পড়তে পারে৷ তবে একদিন পরেই রোববার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আহমেত দাভুতোগ্লু নিশ্চিত করে জানালেন, সিরিয়ার সীমান্ত নয়, আন্তর্জাতিক আকাশ সীমার ভেতরেই তাদের বিমানটি ছিলো৷ তুর্কি টেলিভিশনে তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমাদের হিসেব অনুযায়ী বিমানটিকে আন্তর্জাতিক আকাশসীমার ভেতরে গুলি করা হয়েছে, যেটা ছিলো সিরিয়ার সীমান্ত থেকে ১৩ নটিক্যাল মাইল দূরে৷ সিরিয়া জানতো যে এটি তুর্কি বিমান এবং এর উদ্দেশ্য কী ছিলো৷'' তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‘তুর্কি সেনাবাহিনীকে কারো পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর সাহস করা উচিত নয়৷''
তুরস্ক জানিয়েছে তারা এই ঘটনা নিয়ে ন্যাটোর কাছে বিচার চাইবে৷ আগামী মঙ্গলবার এই নিয়ে ন্যাটো বৈঠকে বসতে যাচ্ছে৷ ন্যাটোর এক মুখপাত্রীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ এর অধীনে কোন সদস্য রাষ্ট্র তার সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বাধীনতা কিংবা নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে সদস্য রাষ্ট্রদের নিয়ে আলোচনার অনুরোধ জানাতে পারে৷
এদিকে এই ঘটনার পর তুরস্কের সংযত ভূমিকার প্রশংসা করেছেন জার্মানি৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘আমি এই ঘটনার পুরো তদন্ত দাবি করছি এবং তুরস্কের দায়িত্বশীল ভূমিকাকে স্বাগত জানাই৷ পরিস্থিতির যাতে আর অবনতি না ঘটে তার জন্য এখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে৷''
অন্যদিকে ব্রিটিশ পররাস্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ আসাদ প্রশাসনের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই আচরণের জন্য তাদের জবাব দিতে হবে৷
এদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত এলাকার আলেপ্পোতে একটি ব্যাটালিয়নের বেশ কিছু সেনা বিদ্রোহ করেছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷ এছাড়া রোববার একাধিক জায়গায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে আসাদ বাহিনীর৷ এতে অন্তত ১৮ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ অন্যদিকে জর্দানের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় সরকারি বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে৷
আরআই/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)