নোয়াখালীতে ‘কিশোর গ্যাং'য়ের শিক্ষার্থীকে হত্যা
১১ অক্টোবর ২০২২ছুরিকাঘাতের পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামরুল হাসান জোবায়ের নামের ১৮ বছর বয়সি ওই কিশোরের মৃত্যু হয় ৷ নিহত কামরুল বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ৷ সে পরিবারের সঙ্গে জেলা শহরের চন্দ্রপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতো ৷
জেলা সদরের সোনাপুর এলাকার আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলো কামরুল ৷
নিহতের মা জেসমিন আক্তার জানান, সোমবার মাগরিবের নামাজের পর আরাফাত হোসেন লাদেন নামের এক সহপাঠী জোবায়েরকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় ৷ কিছুক্ষণ পর বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে সড়কের ওপর রক্ত ও জুতা পড়ে থাকতে দেখে জোবায়েরের মামা বাসায় এসে তার খবর জানতে চান ৷ এ সময় জোবায়েরের মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায় ৷
পরে আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে শোনেন ছেলেকে কারা পেটে ছুরিকাঘাত করেছে, তাকে হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লায় ছেলে মারা যায় বলে খবর পান জেসমিন ৷
স্থানীয়রা জানান, একই এলাকার রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সোমবার সকালে সিনিয়র-জুনিয়র বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয় জোবায়েরের ৷ কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পিয়াসের ছোট ভাইকে চড়-থাপ্পড় দেয় জোবায়ের ৷ এর জেরে সন্ধ্যায় রাকিব ও পিয়াসসহ কয়েকজন জোবায়েরের ওপর হামলা করে ৷ এ সময় হামলাকারীরা জোবায়েরের পেটে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় ৷
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৷ পুলিশ এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে ৷ নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
এস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)