1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেপালের শরণার্থী শিবিরের ভুটানিদের দেশে ফেরার অপেক্ষা

২১ ডিসেম্বর ২০২৪

১৯৯০-এর দশকে ভুটানের কয়েক হাজার নেপালি ভাষাভাষী নাগরিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন৷ তিন দশক পরেও নেপালে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা, স্বপ্ন দেখছেন দেশে ফেরার৷

https://p.dw.com/p/4oS5R
ধনমায়া মুক্তাংতামাং
৭০ বছরের ধনমায়া মুক্তাংতামাং দক্ষিণ ভুটানের সারপাং জেলা থেকে একটি থুঞ্চা ঝুড়ি নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেনছবি: Priyanka Shankar/DW

১৯৮৮ সালের পর ভুটানের ‘এক জাতি, এক জনগণ' নীতির কারণে  নেপালি ভাষাভাষী ভুটানিদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ তারা নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হয়৷ নেপালি ভাষা নিষিদ্ধ করা হয়৷ এর প্রতিবাদে সোচ্চার ব্যক্তিদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷

১৯৯১ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে ১ লক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ভারত পেরিয়ে নেপালে আশ্রয় নেন৷ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর নেপালে সাতটি শিবির স্থাপন করেছিল৷ নেপালে আশ্রয় নেয়া ভুটানিদের অনেকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে চলে গেলেও ৬ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নেপালের শরণার্থী শিবিরে বাস করছেন৷

তিনি এখন মনে করেন, তখন নদী পার হতে গিয়ে মারা গেলেই ভালো হতো, মরে গেলে এত কষ্টের জীবন মেনে নিতে হতো না৷

৬৯ বছর বয়সি পদমলাল পোখারেল তার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুই মেয়েকে নিয়ে শরণার্থীর জীবনযাপন করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়েদের চিকিৎসার জন্য নেপালের সরকার কিছু সহায়তা দিলেও নাগরিকত্ব না থাকায় পুরো চিকিৎসা করানো কষ্টসাধ্য৷’’

অনিশা রাই শিক্ষক হতে চায়৷ কিন্তু শরণার্থী শিবিরে জন্ম হওয়ায় তার নাগরিকত্বের সনদ নেই৷ ১৭ বছর বয়সি কিশোরী বলে, ‘‘আমার বাবা ভুটানের শরণার্থী আর মা নেপালি৷ তাই আমি কোথাও থিতু হতে পারছি না৷’’

বাড়ি ফিরছেন সিরীয় শরণার্থীরা

নেপাল এবং ভুটান জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে সাক্ষর করেনি৷ ২০০৩ সালের পর শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে তেমন কোনো আলোচনাও হয়নি৷ তবে ২০২৩ সালে নেপাল একবার আলোচনা শুরু করার কথা ভেবেছিল৷

ভুটানের জাতীয় পুনর্মীলন কমিটির সমন্বয়ক কৃষ্ণ বীর তামাং বলেন, ‘‘আমরা ভুটানের নাগরিক৷ আমাদের কোনো অপরাধ না থাকা সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে৷ আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে ভুটানের রাজাকে চাপ প্রয়োগ করা দরকার৷’’

২০০৭ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ইউএনএইচসিআর ১,১৩,৫০০ শরণার্থীকে তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে৷ কিন্তু যারা নেপালে রয়ে গেছেন, তারা এখনও পুনর্বাসনের জন্য অপেক্ষা করছেন৷

ভুটানের রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বৈশ্বিক প্রচারণার সমন্বয়ক রাম কার্কি বলেন ‘‘ভুটানের রাজা একদিকে দেশের জনশক্তি বাড়াতে চান, অন্যদিকে আমাদের মতো লক্ষাধিক মানুষকে দেশ থেকে তাড়িয়েছেন৷’’

প্রিয়াঙ্কা শঙ্কর, রজিতা অধিকারী /টিআই