জ্বালানি
৮ অক্টোবর ২০১৫আন্তর্জাতিক ও নেপাল ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, নেপালের নতুন সংবিধান নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেখানে এ পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছে৷ বলা বাহুল্য, ভারত নেপালের নতুন সংবিধানের বিরুদ্ধে৷ তাই নেপালে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত৷ আর নেপালের চারপাশে ভারতের ভূমি সীমানা হওয়ায় নেপাল এখন চরম বিপাকে পড়েছে৷ বিশেষ করে নেপালের বিমান চলচল ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেট ফুয়েলের অভাবে, যা এতদিন পর্যন্ত যেত ভারত থেকে৷ খবরটা এসেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও৷
নেপালের রাষ্ট্র পরিচালিত তেল কর্পোরেশনের মুখপাত্র দীপক বড়ুয়া জানান, ‘‘আমরা বাংলাদেশ থেকে জেট ফুয়েল আনার চিন্তা করছি৷ চীনও আমাদের বিবেচনায় আছে৷''
অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ কম হলেও গুরুত্বহীন নয়৷ প্রতিবছর নেপাল বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন টাকার পণ্য নেয়৷ আর বাংলাদেশ নেপাল থেকে প্রায় সোয়া এক বিলিয়ন টাকার পণ্য আমানি করে৷ এ সব পণ্যের বেশিরভাগই ভোগ্যপণ্য৷ এই পণ্য ট্রাকযোগে ভারতের ওপর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হয়৷ ভারতের অবরোধের কারণে বাংলাদেশ-ভারতের বাংলাবন্ধা সীমান্তে নেপালের জন্য পাঠানো পণ্য বোঝাই প্রায় দু'শ ট্রাক আটকে আছে বলে জানা গেছে৷
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মতলুব আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ভারতকে বাদ দিয়ে নেপালে জ্বালানি তেলসহ পণ্য সরবরাহ বাংলাদেশের পক্ষে কতটুকু সম্ভব হবে, তা ভাববার বিষয়৷ কারণ নেপাল ভারতের ভূমিবেষ্টিত৷ এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার এবং এর জন্য রাজনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন৷''
তিনি বলেন, ‘‘নেপালের পক্ষ থেকে এ ধরণের কোনো অনুরোধ এখনো পাইনি আমরা৷ সরকারও পায়নি বা আমাদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তারা কোনোরকম যোগাযোগ করেনি৷'' তবে তাঁর কথায়, ‘‘জীবনরক্ষাকারী এবং মানবিক পণ্যের ব্যাপারে বাংলাদেশ নেপালকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত৷ আমরা মনে করি, সেক্ষেত্রে ভারতও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না৷''
নেপালকে কি বাংলাদেশের পণ্য ও জ্বালানি দিয়ে সাহায্য করা উচিত? আপনার মন্তব্য দিন নীচের ঘরে৷