‘‘নেতারা যেমন পূজা উদ্বোধন করেন, সাকিবও তা-ই করেছেন’’
২০ নভেম্বর ২০২০ডয়চে ভেলে বাংলার সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'-এর এবারের পর্বে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি মোহাম্মদ নূরুল হক নূর৷ এবারের আলোচনার প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক সুবিধা পেতে কি ধর্মকে ব্যবহার করা যায়?
নূরুল হক নূরের প্রতি সঞ্চালক প্রশ্ন রাখেন, তাঁর আন্দোলন ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা ইস্যুনির্ভর কিনা৷ কারণ সম্প্রতি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কলকাতায় একটি পূজা উদ্বোধন করতে যাওয়া ও এরপর এক ব্যক্তির তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নূর নীরব ছিলেন৷
এর জবাবে নূর বলেন, ‘‘আমি এই হুমকির ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই৷ আমি উদ্বিগ্ন যে সমাজ হিসাবে আমরা কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছি৷ সাকিবের মতো একজন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় সকল ধর্মের মানুষের কাছেই প্রিয়৷ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলীয় নেতারা যেমন পূজায় ঘুরে মণ্ডপ উদ্বোধন করেন, সাকিবও কলকাতায় গিয়ে তা-ই করেছেন৷ তারপর তাঁকে যে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেটা উগ্রতার প্রকাশ৷''
তিনি নিজে এমন কোনো পূজায় অংশগ্রহণ করবেন কি না এবিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে নূরুল হক নূর বলেন, ‘‘আমি যাব না কেন, আমি তো আগেই গিয়েছি৷ জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজায় গেছি, অন্যদের মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখিয়েছি৷''
ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের প্রসঙ্গে যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘‘রাজনীতিতে ধর্ম দক্ষিণ এশিয়ায় সব সময়েই ব্যবহৃত হয়েছে, যা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ দেশভাগও সেই একই কারণে হয়েছে৷ কিন্তু এখন কারা, কীভাবে তা করছে, সেটা সময় বলবে৷ আসলে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার সবচেয়ে সহজ৷ তাহলে উন্নয়ন লাগেনা, সমাজসেবাও বেশি না করলে হয়৷ তাহলেই দ্রুত নেতা হওয়া যায়৷ আওয়ামী লীগ যতদিন আছে, ততদিন তাদের ধর্মকে ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই৷ তারা ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে৷ নীতিগতভাবে তারা অসাম্প্রদায়িক৷ ''
অনুষ্ঠানের আজকের পর্বে এছাড়াও আলোচিত হয় নূরের সাথে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বর্তমান সম্পর্ক ও সরকারপক্ষ থেকে গণমাধ্যমের ওপর চাপের প্রসঙ্গও৷ আলোচিত হয় দুই আলোচকের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়েও৷
এসএস/জেডএইচ