1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাজিরের উত্তরসূরি

৫ জানুয়ারি ২০১৩

পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান প্রদেশের জঙ্গি অধিনায়ক মোল্লা নাজির একটি মার্কিন ড্রোন আক্রমণে নিহত হবার পর, সালাউদ্দিন আয়ুবি নামধারী এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নাজিরের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/17EFI
ছবি: STRDEL/AFP/Getty Images

গত বুধবার যে ড্রোন আক্রমণে মোল্লা নাজির নিহত হন, তাতে তার দু'জন সহকারীও প্রাণ হারায়৷ বৃহস্পতিবার নাজিরের সমাধি অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবার পরেই নাকি উত্তরাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে প্রথমেই ছিল সালাউদ্দিন আয়ুবির নাম৷ আয়ুবির আসল নাম বহাওয়াল খান, বলে এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন পাকিস্তানের গুপ্তচর বিভাগের এক কর্মকর্তা৷

আয়ুবি নিজেও নাজিরের কাকা খেল সাবডিভিশনের মানুষ এবং ঐ অঞ্চলের মুখ্য ওয়াজির উপজাতির সদস্য৷ আয়ুবি বিগত ১৬ বছর ধরে নাজিরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী৷ বয়স ত্রিশের মাঝামাঝি, সুগঠিত স্বাস্থ্য এবং উপজাতি ও গোষ্ঠীর কাছে শ্রদ্ধার পাত্র বলে গণ্য৷ এই হলো পাকিস্তানি গুপ্তচর বিভাগের খবর৷ আয়ুবির সঙ্গে সঙ্গে তার এক সহকারীকেও নিয়োগ করা হয়েছে৷ নাজিরের গোষ্ঠীর এক স্থানীয় অধিনায়ক এই সব নতুন নিয়োগের কথা স্বীকার করেছেন, বলে এএফপি জানিয়েছে৷

নাজির দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান থেকে আফগানিস্তানে জঙ্গি পাঠাতেন ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর জন্য৷ তার এলাকাটি আফগান সীমান্তের কাছে৷ তবে নাজিরের পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে একটি জটিল সম্পর্ক ছিল৷ এমনকি তিনি ২০০৭ সালে ইসলামাবাদের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন৷ এই চুক্তি থেকে ইসলামাবাদের আশা ছিল: প্রথমত, নাজির পাকিস্তানি তালেবানের মোকাবিলা করতে পারবেন; দ্বিতীয়ত, তিনি তেহরিক-ই-তালিবান এবং উজবেক জঙ্গিদের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান থেকে বহিষ্কার করতে পারবেন৷

Anti-Terror Arbeit der USA - Drohne
ড্রোন হামলায় নিহত হন নাজিরছবি: picture alliance/dpa

কাজেই নাজিরের মৃত্যুর পর পাকিস্তানি গুপ্তচর বিভাগের আধিকারিকদের মূল চিন্তা হলো, এবার টিটিপি ও উজবেক জঙ্গিরা আবার এলাকাটিতে অনুপ্রবেশ করবে৷ নাজির ওয়াজিরদের পূর্ণ আস্থা ও সহযোগিতা পেতেন বলে, পাকিস্তানি তালেবান কিংবা উজবেক জঙ্গিরা তার এলাকায় বেশি দূর ঢুকতে পারেনি৷

বৃহস্পতিবার পেন্টাগন নাজিরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে না পারলেও বলে যে, সেক্ষেত্রে এটা একটা বড় ঘটনা হবে৷ নাজিরের মৃত্যু জঙ্গিদের পক্ষে লক্ষণীয় ক্ষতি, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের জন্য মঙ্গলজনক হবে৷ নাজির আবার আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হাক্কানি সন্ত্রাসচক্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যে হাক্কানি চক্র কাবুলে এবং আফগানিস্তানের অন্যত্র একাধিক বড় মাপের আক্রমণ চালিয়েছে৷ সেই হিসেবে নাজির ছিলেন ‘‘এমন একজন, যার হাতে অনেক রক্ত লেগে রয়েছে,'' বলেন পেন্টাগনের মুখপাত্র৷

নাজিরের উপর ড্রোন আক্রমণের ক্ষেত্রে পেন্টাগনের কিছু বলার নেই, কেননা ও' ব্যাপারটা সিআইএ-র হাতে৷ এবং সিআইএ এই ড্রোনযুদ্ধ সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করে না৷ তবে পর্যবেক্ষকদের মতে বিগত বছরে পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন আক্রমণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে৷

অপরদিকে পাকিস্তান এখন বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি৷ জাতিসংঘে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মাসুদ খান বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের সংগ্রাম এখনও তার পূর্ণ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি৷ কাজেই নিরাপত্তা পরিষদকে একটি ‘‘বাস্তবসম্মত প্রতিক্রিয়ার'' কথা ভাবতে হবে৷ শুধু সামরিক শক্তির উপর নির্ভর না করে সন্ত্রাসবাদের আঞ্চলিক মূল কারণ বিবেচনা করতে হবে ও অঞ্চলগুলিতে যেতে হবে৷

মার্কিন ড্রোন আক্রমণ সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলার সঠিক পন্থা কিনা, মাসুদ সে বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন৷ তিনি বলেন, ড্রোন আক্রমণে মোল্লা নাজিরের নিহত হওয়ার ব্যাপারে তাঁকে সরকারিভাবে অবগত করা হয়নি৷

এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য