নিশ্চিত জয়ের পথে নরেন্দ্র মোদী
২৩ মে ২০১৯নির্বাচন কমিশন বলছে, লোকসভার ৫৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৩০০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে৷ আর রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পার্টি এগিয়ে আছে মাত্র ৫০টি আসনে৷
সরকার গঠনের জন্য কোনো দল কিংবা জোটের ২৭২টি আসন পাওয়া প্রয়োজন৷
২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসনে জয়লাভ করেছিল৷
১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো একক দল টানা দু'বার ক্ষমতায় বসতে চলেছে৷
রাহুল গান্ধী তাঁর পারিবারিক আসন আমেথিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গেছেন৷ এক সংবাদ সম্মেলনে এই হার স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘স্মৃতি ইরানিকে আমি অভিনন্দন জানাই৷ আমেথির জনগণ তাঁদের মতামত জানিয়েছেন৷’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে আবারও ভোট দেয়ায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আজকের ফলাফল প্রমাণ করছে যে, ভারতের জনগণ জাত, স্বজনপ্রীতি, তুষ্টির পরিবর্তে জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন বেছে নিয়েছে৷’’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ তাঁর জয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করেন হাসিনা৷
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নির্বাচনে জয়লাভ করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও উন্নয়নের জন্য তাঁর সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় তিনি আছেন বলেও জানান ইমরান খান৷
নতুন দিল্লিতে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে সমর্থকদের উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে৷ দলের এক মুখপাত্র নরসিমহা রাও বলেছেন, ‘‘এটা ভারতের জন্য বিশাল জয়৷’’
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতাদের মনমরা অবস্থায় দেখা গেছে৷ তবে রাজেশ তিওয়ারি নামের এক কংগ্রেস সমর্থক বলছেন, ‘‘আমরা দুঃখ পেয়েছি, কিন্তু আবার উঠে দাঁড়াব৷ মোদী মিথ্যা আর ভুয়া অঙ্গীকার করে জিতেছেন৷ দেশ এখন বিপদে৷’’
উল্লেখ্য, মোদী যখন নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছিলেন, তখন ব্যাপক চাপে ছিলেন৷ কারণ, ডিসেম্বরে তিনটি রাজ্য নির্বাচনে হেরেছিল তাঁর দল৷ এছাড়া কৃষিপণ্যের দাম, বেকারত্ব এসব নিয়েও মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন অনেক ভোটার৷ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গাড়ি বোমা হামলায় ৪০ জন ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যের মৃত্যুর পর নির্বাচনি প্রচারণায় ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়টি আলোচিত হয়ে ওঠে৷ এবং এতে বিজেপি লাভবান হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা৷ নতুন দিল্লির থিংক ট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হার্শ পান্ত বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে৷ ফলে বিজেপি কিছু ইস্যু চাপা দেয়ার সুযোগ পেয়ে যায়৷’’
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)