1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিশ্চিত জয়ের পথে নরেন্দ্র মোদী

২৩ মে ২০১৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আবারও ক্ষমতায় আসছে বলে নির্বাচন কমিশনের তথ্যে জানা যাচ্ছে৷ এদিকে, তাঁকে আবারও নির্বাচিত করায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদী৷

https://p.dw.com/p/3Ivzm
ছবি: IANS/Twitter/@narendramodi

নির্বাচন কমিশন বলছে, লোকসভার ৫৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৩০০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে৷ আর রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পার্টি এগিয়ে আছে মাত্র ৫০টি আসনে৷

সরকার গঠনের জন্য কোনো দল কিংবা জোটের ২৭২টি আসন পাওয়া প্রয়োজন৷

২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসনে জয়লাভ করেছিল৷

১৯৮৪ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনো একক দল টানা দু'বার ক্ষমতায় বসতে চলেছে

রাহুল গান্ধী তাঁর পারিবারিক আসন আমেথিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গেছেন৷ এক সংবাদ সম্মেলনে এই হার স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘স্মৃতি ইরানিকে আমি অভিনন্দন জানাই৷ আমেথির জনগণ তাঁদের মতামত জানিয়েছেন৷’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে আবারও ভোট দেয়ায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আজকের ফলাফল প্রমাণ করছে যে, ভারতের জনগণ জাত, স্বজনপ্রীতি, তুষ্টির পরিবর্তে জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন বেছে নিয়েছে৷’’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ তাঁর জয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করেন হাসিনা৷

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নির্বাচনে জয়লাভ করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও উন্নয়নের জন্য তাঁর সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় তিনি আছেন বলেও জানান ইমরান খান৷

নতুন দিল্লিতে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে সমর্থকদের উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে৷ দলের এক মুখপাত্র নরসিমহা রাও বলেছেন, ‘‘এটা ভারতের জন্য বিশাল জয়৷’’

অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতাদের মনমরা অবস্থায় দেখা গেছে৷ তবে রাজেশ তিওয়ারি নামের এক কংগ্রেস সমর্থক বলছেন, ‘‘আমরা দুঃখ পেয়েছি, কিন্তু আবার উঠে দাঁড়াব৷ মোদী মিথ্যা আর ভুয়া অঙ্গীকার করে জিতেছেন৷ দেশ এখন বিপদে৷’’

উল্লেখ্য, মোদী যখন নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছিলেন, তখন ব্যাপক চাপে ছিলেন৷ কারণ, ডিসেম্বরে তিনটি রাজ্য নির্বাচনে হেরেছিল তাঁর দল৷ এছাড়া কৃষিপণ্যের দাম, বেকারত্ব এসব নিয়েও মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন অনেক ভোটার৷ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গাড়ি বোমা হামলায় ৪০ জন ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যের মৃত্যুর পর নির্বাচনি প্রচারণায় ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়টি আলোচিত হয়ে ওঠে৷ এবং এতে বিজেপি লাভবান হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা৷ নতুন দিল্লির থিংক ট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হার্শ পান্ত বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে৷ ফলে বিজেপি কিছু ইস্যু চাপা দেয়ার সুযোগ পেয়ে যায়৷’’

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য