1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিশীথের গাড়িতে হামলা, মামলা হলো হাইকোর্টে

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

গত শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা হয় কোচবিহারে। সোমবার এবিষয়ে মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

https://p.dw.com/p/4O0qn
ছবি: Syamantak Ghosh/DW

শনিবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে সভা করতে গেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। অভিযোগ, বুড়িরহাট এলাকায় তার কনভয় পৌঁছালে সেখানে তৃণমূলের কর্মীরা প্রথমে তাকে কালো পতাকা দেখান। এরপর ঢিল ছোঁড়া হয় তার গাড়ির কাচে। শুধু তা-ই নয়, মুহূর্তের মধ্যে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বিষয়টি নিয়ে রোববার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। সোমবার তা হাইকোর্টে পৌঁছালো। 

এদিন বিজেপির আইনজীবী মামলাটি হাইকোর্টকে গ্রহণ করার দাবি জানান। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করে। এর পর ওই বেঞ্চেই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা। বস্তুত, ওই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। 

শনিবারের ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে বিজেপি। রোববার রাজ্যের বিভিন্ন থানা ঘেরাও করা হয়। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে কীভাবে এমন হামলা চলল, কেন পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিল না, তা নিয়ে তারা প্রস্ন তুলেছেন। 

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ''রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ও আক্রান্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বাঁচবেন কী করে?'' 

শনিবারই নিশীথ অভিযোগ করেছিলেন, কোচবিহারের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহের নির্দেশেই তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। এবিষয়ে উদয়ন গুহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''সর্বৈব মিথ্যা। বিজেপি নিজেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য।'' উদয়নের পাল্টা অভিযোগ, নিশীথ গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এলাকা দখল করতে গেছিলেন। তারই জেরে এই গণ্ডগোল হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যপালও একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন রোববার। রাজ্যপালের দপ্তর জানিয়েছে, রাজ্যপালের নির্দেশে একটি গোপন তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তারা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রাজ্যপাল তার নোটে বলেছেন, আন্দোলন, বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু হামলা চালানো কখনোই সমর্থন করা য়ায় না। যা ঘটেছে, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। 

এসজি/জিএইচ (আনন্দবাজার, পিটিআই)