নির্মাণকাজে বিপ্লব আনতে চলেছে কার্বন ফাইবার
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬কার্বন বেকারিতে ক্যারিয়ার সুতাগুলির সঙ্গে কার্বন টেপ মিলিয়ে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জুড়ে দেওয়া হয়৷ ২ থেকে ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কার্বনের সঙ্গে প্লাস্টিকের সুতো ফিউজ করে মিশ্র ফাইবার তৈরি করা হয়৷ দেখতে কার্বন ফাইবারের মতে হলেও এটি এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী শক্তপোক্ত হতে পারেনি৷
১,২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বেকিং-এর দ্বিতীয় প্রক্রিয়ার পর অবশ্য হীরার মতো শক্ত হয়ে যায় সেটি৷ এই প্রক্রিয়ার সময় কার্বনের পরমাণুগুলি নতুন করে বিন্যস্ত হয়৷ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার গুনার সাইডে বলেন, ‘‘আমরা জ্বালানির আরও সাশ্রয় করে কার্বন ফাইবার তৈরির চেষ্টা করছি৷ তাতে শুধু টাকা বাঁচে না, মেটিরিয়াল আরও বহুমুখী হয়ে ওঠে৷ অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব উপায়ে সস্তায় উৎপাদন করলে প্রয়োগের ক্ষেত্রও বেড়ে যায়৷''
এখনো আরও উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে৷ কার্বন ফাইবার বোনা খুব কঠিন কাজ, কারণ তার বিশেষ সুতা কাপড়ের তুলনায় বেশি নাজুক৷ এই যন্ত্র অবশ্য উপকরণের দুর্বলতা দূর করতে পারে৷ রিইনফোর্সিং মেটিরিয়াল নিখুঁতভাবে বোনা প্রযুক্তিগতভাবে অত্যন্ত কঠিন কাজ৷ এক স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের কাজ চলছে৷ ম্যাগনিফায়ার দেখিয়ে দিচ্ছে, কোথায় মেটিরিয়াল রিইনফোর্স করা হচ্ছে৷ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার ড. বেনেডিক্ট ভেন্ডলান্ড বলেন, ‘‘এর মাধ্যমে খাঁচা ও কাঠামোর অনেক অংশ হালকা হয়ে যায়৷ স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার কারণে ব্যয়ও কমে যায়৷''
বোনা কাপড় নির্মাণের উপকরণেও ব্যবহার করা হচ্ছে৷ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের এই দেওয়ালে আলোকিত কংক্রিট রয়েছে৷ তার মধ্যে যে ফাইবার রয়েছে, তা কংক্রিটের মধ্য দিয়ে আলো বহন করে৷ মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার ড. আন্দ্রেয়াস রয়ে বলেন, ‘‘স্থপতিদের চাহিদা পূরণ করতেই আলোকিত কংক্রিট তৈরি হয়েছিল৷ শক্ত, কালো ও ম্লান কংক্রিটে আলো বহনের ক্ষমতা যোগ করে তার ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছিল৷ ৮০ বছর ধরে উন্নতির কাজ চলছে৷ আজ আলো ও কংক্রিটের মেলবন্ধন বাজারে ছাড়ার সময় এসে গেছে৷''
নতুন এই মেটিরিয়াল দিয়ে অলঙ্কার ও খোদাইয়ের কাজও করা যায়৷ এলইডি এলিমেন্ট থেকে আলো আসে৷ প্রথম প্রকল্প হিসেবে আবু ধাবির এক মসজিদে আখেন-এ তৈরি লাইট কংক্রিট বসানো হবে৷