‘ইসলামি জোটের’ আস্থা আ.লী.?
২৯ জুলাই ২০১৭নতুন জোটের সমন্বয়কারী গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম খান ডয়চে ভেলেকে শুক্রবারের বৈঠকের পর বলেন, ‘‘জোটের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷ তবে আমরা জোট গঠনের ব্যাপারে বৈঠকে একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ ৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের নাম এবং চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘জোটের দু'টি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে – বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক এলায়েন্স অথবা ন্যাশনাল ডেমেক্র্যাটিক এলায়েন্স৷ এর যে কোনো একটি নাম চূড়ান্ত হবে৷ বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোট-এর চেয়ারম্যান, মিছবাহুর রহমান চৌধুরী এই জোটের চেয়ারম্যান হতে পারেন৷''
যে আটটি দল এই জোটে থাকতে সম্মতি দিয়েছে সেই দলগুলো হলো – বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোট, গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্ট, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) ও জমিয়তে হিজবুল্লাহ বাংলাদেশ৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় এই জোট কাজ করবে এবং আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানা গেছে৷
নূরুল ইসলাম খান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা আমাদের জোট থেকে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার জন্য আগামী এক বছর কাজ করবো৷ তবে নির্বাচনের আগে বড় কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও নির্বাচনি জোট করতে পারি৷''
সেক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করার সম্ভাবনা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আমরা নির্বাচনি জোট করতে চাই৷ কারণ আমি এবং মেসবাহুর রহমান চৌধুরী দু'জনই আওয়ামী ঘরানার৷ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে আমাদের সঙ্গে শেখ হাসিনার একটা যোগাযোগ হয়েছিল৷ ইসলামপন্থিদের এক করে জোটবদ্ধ করার কথা হয়েছিল৷''
কেউ কেউ তো বলে থাকেন আওয়ামী লীগ ‘ইসলাম বিরোধী'৷ একথার জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামের পক্ষে কে বিএনপি? আমরাতো মনে করি বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের আমলে ইসলামের জন্য এবং ইসলামের পক্ষে বেশি কাজ হয়েছে৷''
আর নতুন এই জোটের শরিক বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ ভালো৷ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেতো আছেই৷ আর ভবিষ্যতে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু করবে বলে মনে হয় না৷ কারণ কিছুটা হোঁচট এরইমধ্যে খেয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে গিয়ে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘এখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনি জোট করব এমন কোনো চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি৷ জোট হলে আমরা ১০০ আসন চাইব৷ কারণ আমরা মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের নতুন এই জোটের ভোট হবে শতকরা ২৫ ভাগ৷''
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷