1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা

৭ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশে সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতা কমে এলেও চট্টগ্রামের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে গোয়েন্দাদের৷ তারা নির্বাচনের আগে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷

https://p.dw.com/p/367Um
ছবি: Getty Images/AFP

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে শুক্রবার একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের পর দু'জনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করেছে র‌্যাব৷ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত মিরসরাইয়ের উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের ‘চৌধুরী ম্যানশন'-এ অভিযান চালানো হয়৷ অভিযান শেষে ওই বাড়ি থেকে একটি একে-২২ রাইফেল, ৫টি অবিস্ফোরিত বোমা এবং তিনটি ছুরিসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে৷ র‌্যাব বলছে, চট্টগ্রামের আদালত ভবন উড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল ওই জঙ্গিদের৷ নিহত দু'জন জেএমবির সক্রিয় সদস্য৷ তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেননি তারা৷

‘‘তারা চট্টগ্রামের আদালত ভবনে হামলার পরিকল্পনা করেছিল’’

চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তারা চট্টগ্রামের আদালত ভবনসহ আরো কিছু টার্গেটে হামলার পরিকল্পনা করেছিল৷ এখন আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি৷ এখনই বলা যাচ্ছে না যে তারা কী কারণে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল৷''

তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে৷ নিহত দুই জঙ্গির মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে দেয়া হয়েছে৷''

প্রসঙ্গত, ঢাকার অনলাইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার নুরুজ্জামান লাবু জঙ্গি বিষয়ক রিপোর্ট করেন৷ তিনি সাম্প্রতিক জঙ্গি কার্যক্রমের ওপর নজর রাখছেন৷

‘‘তাদের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে’’

ডয়চে ভেলেকে লাবু বলেন, ‘‘জঙ্গিরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে কুফরী মতবাদ হিসেবে দেখে৷ তাই তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুনভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে৷ তবে তারা যে ভোট কেন্দ্রে বা বুথে নাশকতা করতে পারে তা নয়, তারা ব্যক্তি বা স্থাপনায় হামলা চালিয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাইতে পারে৷''

তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গিদের যে অভ্যন্তরীণ গোপন আলোচনার মাধ্যম, সেখান থেকে স্পষ্ট যে তারা টার্গেটেড কিলিং-এর দিকে ঝুঁকছে৷ গত ২৩ সেপ্টেম্বর জেএমবি'র প্রোপাগান্ডা চ্যানেলে একটি বার্তাও দেয়া হয়েছে যে তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে৷ আর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভন্ন সময় এমন তথ্য পেয়েছে যে জঙ্গিরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নাম ঠিকানা ও পরিচয় সংগ্রহ করছে৷ তারা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনায় হামলা চালিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে৷''

‘‘জঙ্গিরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে কুফরী মতবাদ হিসেবে দেখে’’

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান ডয়চে ভলেকে বলেন, ‘‘হোলি আর্টিজান হামলার পর ব্যাপক অভিযান এবং গোয়েন্দা তৎপরতার মুখে জঙ্গিরা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ তাদের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে৷ তারপরও কিছু জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে৷ যারা বিভিন্ন মামলার আসামি, তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘জঙ্গিরা গণতন্ত্র বিরোধী৷ তারা আল্লাহর আইন চায়৷ তারা নির্বাচন বিরোধী৷ তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা যেকোন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে৷ আমরা এমন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছিনা৷ আমাদের কাছে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই৷ তবে আমরা আমাদের নেটওয়ার্ক সক্রিয় রেখেছি৷''