নির্বাচন: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে সেনা সদস্যরা
বাংলাদেশের নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে বুধবার মাঠে নেমেছেন সেনা সদস্যরা৷ দেখুন ঢাকা ও ঢাকার বাইরের চিত্র...
ক্যান্টনমেন্ট থেকে
বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করার রেওয়াজ রয়েছে৷ নির্বাচন কমিশনের চাহিদামাফিক সরকার এই ব্যবস্থা নিয়ে থাকে৷ তার অংশ হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়ও মাঠে থাকছে সেনা সদস্যরা৷ বুধবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সৈনিক ক্লাব গেট দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে তাদের বের হতে দেখা যায়৷
সাত দিন
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে গুলিস্তানে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সের সামনে সেনাবাহিনী সদস্যরা সেনাক্যাম্পের জন্য অবস্থান করেন৷ সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে সেনা সদস্যরা৷
কত সদস্য
সেনাবাহিনীর মোট কতজন সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন তা জানানো হয়নি৷ তবে বিগত নির্বাচনে প্রায় ৫০ হাজার সেনা নিয়োজিত হয়েছিল৷ ছবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-র বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে সেনাক্যাম্পের প্রবেশ দ্বারে সেনাবাহিনীর সদস্যকে দেখা যাচ্ছে৷
রাজপথে টহল
মাঠে নামার প্রথম দিনই ঢাকার রাস্তায় সেনাদের টহল দিতে দেখা যায়৷ ছবিতে দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হল থেকে বের হয়ে মিন্টো রোডের দিকে যেতে দেখা যাচ্ছে একটি সেনাদলকে৷
৬২টি জেলা
মোট ৬২ টি জেলার সেনা নিয়োজিত করা হয়েছে৷ এর মধ্যে সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে৷ এছাড়াও সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সাথে এবং উপকূলীয় ০৪টি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সাথে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে৷
বগুড়া থেকে রাজশাহী
বুধবার দুপুরে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজশাহীতে আসে সেনাবাহিনীর একটি বহর৷ নগরীতে টহল দিতে শুরু করে তারা৷ রাজশাহী শহরসহ উপজেলাগুলোর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২২ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে৷ এছাড়া রাজশাহী বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে প্রায় সাড়ে পাঁচশ র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন৷
নৌ ও বিমান বাহিনী
বুধবার সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয় সেনাবাহিনী (ছবি)৷ আইএসপিআর জানিয়েছে, উপকূলীয় দুটি জেলা (ভোলা ও বরগুনা) ও এর বাইরে ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে৷ বিমান বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সহায়তা দেবে৷ জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনি সহায়তার জন্য বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা৷