1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজের মৃত্যুর দৃশ্য লাইভ করতে চান এক ফরাসী

৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি না দেয়ায় ফ্রান্সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনিবার রাত থেকে তার মৃত্যুদৃশ্য ফেসবুকে লাইভ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ তবে তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ৷

https://p.dw.com/p/3i4Te
স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি না দেয়ায় ফ্রান্সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনিবার রাত থেকে তার মৃত্যুদৃশ্য ফেসবুকে লাইভ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ তবে তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Reuters/G. Fuentes

অ্যালা কক নামের ঐ ব্যক্তি জটিল এক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন৷ যার কোনো চিকিৎসা নেই৷ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে শান্তিতে মারা যেতে চান তিনি৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর কাছে সেই অনুমতি চেয়ে আবেদন জানান কক৷ কিন্তু ফিরতি চিঠিতে মাক্রোঁ জানিয়েছেন, ফরাসী আইন অনুযায়ী কাউকে এই অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই৷ ফেসবুক পেজে সেই চিঠি তুলে দিয়েছেন কক৷ চিঠিতে মাক্রোঁ তাকে লিখেছেন, ‘‘যেহেতু আমি আইনের উর্দ্ধে নই, সেহেতু আপনার অনুরোধটি রাখতে পারছি না৷’’

এই চিঠি পাওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে খাদ্য, পানীয় ও ঔষধ সেবন বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ৫৭ বছর বয়সি কক৷ তার ধারণা, এতে এক সপ্তাহেরও কম সময় বাঁচবেন তিনি৷ আর শনিবার থেকে নিজের সেই মৃত্যু দৃশ্য ‘ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম’ করবেন৷ এর মধ্য দিয়ে শুধু নিজের না, তার মতো পরিস্থিতিতে থাকা সবারই সেচ্ছামৃত্যুর ইচ্ছাপূরণ কেন জরুরি সেটিও তিনি তুলে ধরতে চান৷ তিনি যে কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তা সবাই যাতে উপলব্ধি করতে পারেন এবং ভবিষ্যতে এই আইন পরিবর্তন হয় সেটি তার উদ্দেশ্য৷

পরিকল্পনা অনুযায়ী কক ফেসবুকে লাইভ শুরুও করেছিলেন৷ কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তাকে ব্লক করে দেয়া হয়৷

এর আগে শনিবারই বার্তা সংস্থাকে এএফপিকে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, জটিল এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অ্যালা কক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটির প্রতি তাদের শ্রদ্ধা আছে৷ কিন্তু অ্যাকাউন্ট থেকে যাতে লাইভ ব্রডকাস্ট না করা যায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷

এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে যারা রয়েছেন, তাদের (স্বেচ্ছামৃত্যুর) অধিকারের জন্য ককের প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল মাক্রোঁ৷

রোগীদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে ফ্রান্সে৷ ভিনসেন্ট ল্যাম্বার্ট নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে এ নিয়ে সবচেয়ে আলোচনা হয়েছে৷ ২০০৮ সালে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কোমা পরিস্থিতিতে চলে যান৷ গত বছরের জুলাইতে ডাক্তররা লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়ার পর মারা যান তিনি৷

তাকে বাঁচিয়ে রাখা হবে কিনা এ নিয়ে পরিবার থেকে শুরু করে গোটা দেশই বিভক্ত হয়ে পড়ে৷ ল্যাম্বার্টের বাবা-মা চেয়েছিলেন তিনি বেঁচে থাকুন৷ অন্যদিকে স্ত্রী এবং ভ্রাতুষ্পুত্ররা ছিলেন মৃত্যুবরণের সুযোগ দেয়ার পক্ষে৷ লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়ার পর বিষয়টি আদালতেও গড়িয়েছে৷ তবে আইন অনুযায়ী যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়ায় এবং তদন্তকারীদের  প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলা থেকে খালাস পান চিকিৎসকরা৷

এফএস/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য