1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিকোসিয়া’কে হারানো এক কথা, কিন্তু বায়ার্ন?

৫ এপ্রিল ২০১২

বুধবার রেয়াল মাদ্রিদ নিকোসিয়া’কে ৫-২ গোলে পর্যুদস্ত করার পর অ্যাগ্রেগেট দাঁড়াল ৮-২৷ কিন্তু রেয়াল কোচ জোসে মুরিনিয়ো খুব ভালো করেই জানেন যে, সেমিফাইনালে বায়ার্ন হবে অন্য এক বৈরী৷

https://p.dw.com/p/14Y7h
ছবি: picture-alliance/dpa

বায়ার্ন মিউনিখেও কেউ রেয়াল'এর জয়ে বিশেষ চমকিত হয়নি৷ ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্দো'র দু'টি গোল, তার মধ্যে একটি আবার সেই বেঁকে হঠাৎ নীচু হয়ে যাওয়া ফ্রি-কিক৷ অথবা কাকা'র দূর থেকে কার্লিং শটে গোল৷ এ'সবই প্রত্যাশিত, বিশেষ করে রেয়াল যখন কোয়ার্টার ফাইনালের ফার্স্ট লেগে সাইপ্রাস থেকে ৩-০ গোলে জিতে এসেছে৷ কোচ জোসে মুরিনিয়ো'র রেয়াল এ'বছর চ্যাম্পিয়নস লিগে স্বমাঠে একবারও হারেনি৷ স্বদেশে লা লিগা'র ৩০টি ম্যাচে ১০০টি গোল করেছে, ইউরোপ পর্যায়ে ১০টি ম্যাচে ৩২টি গোল৷ দল যে ফর্মেই রয়েছে, সেটা মুরিনিয়ো'র ভালভাবেই জ্ঞাত৷

অন্যদিকে বায়ার্ন মিউনিখ সম্পর্কে তার মন্তব্য: ‘‘অতি বিপজ্জনক প্রতিদ্বন্দ্বী''৷ বায়ার্নের ক্ষেত্রে সেটাও বলবার দরকার নেই৷ বায়ার্ন খুব ভালো করেই জানে যে, চ্যাম্পিয়নস লিগের এই পর্যায়ে, যেখানে সেমিফাইনালে বার্সা'র মুখোমুখি না হয়ে রেয়াল'এর পাল্লায় পড়াটাকেই সৌভাগ্য বলা চলে, সেখানে নিজেদের ফর্মটা কেমন, সেটাই বড় কথা৷ এবং বায়ার্ন এখন বুন্ডেসলিগা'য় আগুন ছড়াচ্ছে৷ জার্মান কাপ জেতার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের৷ কাজেই চ্যাম্পিয়নস লিগেই বা তারা ঘাবড়াবে কেন?

Fußball DFB-Pokal Halbfinale Borussia Mönchengladbach FC Bayern München 21.03.2012
খেলার মাঝেছবি: picture-alliance/dpa

সুপার বার্সা

আবার ভেবে দেখতে গেলে, রেয়াল কি বায়ার্ন, কোনো পক্ষকেই তাদের চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী, অর্থাৎ বার্সেলোনা সম্পর্কে কিছু বলার দরকার নেই৷ মুরিনিয়ো বুধবার নিকোসিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের পরেই বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনা শুধু ফেভারিট নয়, ওরা হল সুপার ফেভারিট৷'' এবং বার্সেলোনা যে ফাইনালে খেলবে, সে বিষয়ে মুরিনিয়ো'র বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই৷ এমনকি মুরিনিয়ো'র নিজের প্রাক্তন ক্লাব চেলসি যে সেই সন্ধ্যাতেই বেনফিকা লিসবন'কে হারিয়ে সেমিফাইনালে বার্সা'র সঙ্গে মোলাকাতের সম্মান ও সাজা, দুটি'ই অর্জন করেছে, মুরিনিয়ো তাকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন নি৷ তার দৃষ্টিতে চেলসি'র পক্ষে বার্সাকে হারানোর মতো অঘটন ঘটানো অসম্ভব৷

অজানা চেলসি

বুধবার চেলসি স্বমাঠে বেনফিকা'র সঙ্গে খেলতে গিয়ে আবার ‘জীবনের সাথে খেলিব আজিকে মরণখেলা' করতে গেল কেন, বলা শক্ত৷ বহুক্ষণ ধরে তো মনে হচ্ছিল যে তারা শুধু অ্যাওয়ে গোলের হিসেবেই বেনফিকা'কে সেমিফাইনালে যাওয়ার টিকিটটি হাতে তুলে দেবে৷ স্টপেজ টাইমে রাউল মেইরেলেস'এর কামানের গোলার মতো শটটিতে স্কোর ২-১ - এবং অ্যাগ্রেগেটে ৩-১ - না করে দিলে, অথবা শেষ গোলটি চেলসি'র না হয়ে বেনফিকা'র হলে... যাকগে, ফুটবলের ইতিহাসে ঐ কি হলে কি হতো, তা নিয়ে মাথা ঘামানো নিরর্থ৷

তবু একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে: চেলসি অতীতে পাঁচবার সেমিফাইনাল পর্যায়ে পৌঁছে মাত্র একবার ফাইনালে উঠতে পেরেছে৷ এবং এ'যাবৎ তারা কোনো ইউরোপীয় খেতাব জেতেনি৷ অন্যদিকে চেলসি এবার প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত খেলছে৷ তা সত্ত্বেও, বার্সেলোনার বিরুদ্ধে চেলসির জয়ের সম্ভাবনা বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রায় অলীক বললেই চলে৷ গতকালের খেলাটাই ধরা যাক৷ বেনফিকার ক্যাপ্টেন ম্যাক্সি পেরেরা হাফটাইমের পাঁচমিনিট আগে লাল কার্ড দেখার সত্ত্বেও বেনফিকা প্রতিপক্ষের গোলের দিকে শট নিয়েছে ২২টি, তার মধ্যে আটটি অন্তত গোলের আশেপাশে পৌঁছেছে৷ চেলসি'র গোলের দিকে শট ছিল সাকুল্যে ১৫টি, তার মধ্যে মাত্র চারটি অন টার্গেট৷

কিন্তু চেলসি'র অস্থায়ী কোচ রবের্তো দি মাত্তেও জানেন যে, ক্লাবের মালিক রুশ কোটিপতি রোমান আব্রামোভিচ'এর কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাটাই একমাত্র লক্ষ্য৷ এবং দি মাত্তেও'র কোচের চাকরিটা স্থায়ী হবে কিনা, সেটাও নির্ভর করবে তার ওপর৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী / রয়টার্স, এপি, এএফপি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য