নিউজিল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন আর্ডান
১৯ জানুয়ারি ২০২৩কোনো কেলেঙ্কারিতে তিনি জড়িয়ে পড়েননি, তার বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগও তোলেনি বিরোধীরা, তা সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডের নারী প্রধানমন্ত্রী আর্ডান জানিয়ে দিলেন, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। যেভাবে তিনি করোনা রুখতে একের পর এক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তা গোটা বিশ্বে প্রশংসা পেয়েছিল।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
আর্ডান জানিয়েছেন, ''আমার মনে হয়েছে, এটাই সরে যাওয়ার সেরা সময়। আরো চার বছর কাজ চালাবার মতো রশদ আমার কাছে নেই।''
আর্ডান বলেছেন, ''গত সাড়ে পাঁচ বছর আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো সময়, তৃপ্তির সময়। তা সত্ত্বেও আমি এমন একটি পদ ছেড়ে দিচ্ছি। বড় পদের সঙ্গে বড় দায়িত্বও আসে। সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো এটা বোঝা যে, দেশকে এই সময় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমি সেরা মানুষ কি না। কখন তুমি আর সেরা থাকছ না, সেটা বোঝাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।''
বিশ্বজুড়ে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা ক্ষমতা ছাড়তে চান না। ভোটে হেরে গিয়েও তারা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চান। এই আবহে আর্ডানের সিদ্ধান্ত ব্যতিক্রমী।
ভোটের আগে
আর্ডান আরো দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। প্রথমটি হলো, আগামী ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন হবে। দ্বিতীয়টি হলো, তিনি সেই নির্বাচনে লড়বেন না। আপাতত তিনি এপ্রিল পর্যন্ত পার্লামোন্টের সদস্য থাকবেন। তারপর কী করবেন, তা তিনি জানাননি।
আর্ডানের লেবার পার্টি আগামী শনিবার নেতা বাছার জন্য ভোটাভুটি করবে।
২০১৭ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আর্ডান। বিশ্বের কম বয়সি নারী প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে তিনি একজন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাচ্চার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি।
জিএইচ/এসজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)