নারীদের জন্য ৩০ ভাগ কোটা জার্মানিতে
২৭ নভেম্বর ২০১৪মঙ্গলবার রাতে পার্লামেন্ট সদস্যদের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনার পর কোটা নির্ধারণের বিষয়ে একমত হয় জার্মানির জোট সরকার৷ ম্যার্কেল বলেন, ‘‘নারীদের যোগ্যতার বিষয়টি আমরা অস্বীকার করতে পারি না৷ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটা করব এবং এটা বাস্তবায়িত হবে৷''
এই আইন বাস্তবায়িত হলে যেসব কোম্পানী তাদের বোর্ডের জন্য উপযুক্ত নারী প্রার্থী পাবে না তারা সেই সব পদ খালি রাখবে৷ তবে এই আইনের বিরোধিতা করে এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়েছে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷ বুধবারে এক বিবৃতিতে ফেডারেশন অফ জার্মান ইনডাস্ট্রি বিডিআই এবং দ্য এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন বিডিএ নতুন এই আইনের সমালোচনা করেছে৷ তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ ধরনের কোটা ব্যবস্থার ফলে যোগ্যতম ব্যক্তিরা সুযোগ হারাবে৷
পরিচালকমণ্ডলীতে নারী ৩০ ভাগ
২০১৬ সাল থেকে জার্মানির বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালকমণ্ডলীর মধ্যে নারীদের কোটা থাকবে ৩০ ভাগ৷ এই তালিকায় ১০৮টি কোম্পানি রয়েছে, যার পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য হতে পারলেও নির্বাহী পরিচালকের পদে কোন কোটা থাকবে না৷
অবশ্য এই কোটা বিষয়ে এক বছর আগে থেকেই আলোচনা হচ্ছিল৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের রক্ষণশীল জোটের দুই দল খ্রিষ্টান ডেমোক্র্যাটিক সিডিইউ এবং খ্রিষ্টান সোশাল ইউনিয়ন সিএসইউ অতীতে আইন করে কোটা করার জন্য একমত হয়েছিল৷ তালিকাবদ্ধ ১০৮টি কোম্পানির জন্য এই কোটা পদ্ধতি বহাল থাকবে৷ এছাড়া কয়েক হাজার মাঝারি যেসব কোম্পানি রয়েছে তারা নির্বাহী ও পরিচালকমণ্ডলীতে নিজেদের মত করে কোটা পদ্ধতি করতে পারবে৷
বর্তমান পরিস্থিতি:
জার্মান বড় বড় কোম্পানিরগুলোর পরিচালকমণ্ডলীতে এখনো পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৮০ ভাগ৷ ডিআইডাব্লিউ ইকোনমিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এর তথ্য অনুযায়ী জার্মানির বৃহত্তম ৩০টি কোম্পানিতে নির্বাহী পদে নারীরা মাত্র ৭ ভাগ জায়গা দখল করে আছে ৷
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে গত বছর নির্বাহী পদে নারীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে৷ তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সে তুলনায় উচ্চপদে নারীদের অবস্থান বেশি৷ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানে এই হার ১৮.৯ ভাগ, তিন বছর আগে যা ছিল মাত্র ১০ ভাগ৷
তবে জার্মানির কট্টরপন্থি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মালিকরা এই আইনের সমালোচনা করে বলেছেন, এ ধরনের বৈধ কোটার কোন প্রয়োজন আমরা দেখছি না৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)