1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নানা আয়োজনে বিদ্রোহী কবির মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

২৭ আগস্ট ২০১০

ইংরেজি সন অনুযায়ী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল শুক্রবার৷ ১৯৭৬ সালের ২৭শে আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি৷ আর সেই দিনটিকেই এদিন স্মরণ করলো দেশবাসী৷

https://p.dw.com/p/Oy72
কাজী নজরুল ইসলামছবি: Harun Ur Rashid Swapan

স্বাধীনতা সংগ্রামে নজরুলের কবিতা এদেশের মানুষকে যেভাবে উজ্জীবিত করেছে, আর কোন কবি তা হয়ত করতে পারেন নি৷ পরাধীন জাতির উদ্দেশ্যে নজরুল বলেছিলেন -

‘বল বীর ---
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির !...'

সেই কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে শুক্রবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে৷ বাংলা একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী ও নজরুল ইনস্টিটিউট পালন করে বিভিন্ন কর্মসূচি৷ এছাড়া, এদিন ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন৷ শ্রদ্ধা জানান বহু মানুষ৷

১৮৯৯ সালের ২৪শে মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম৷ খুব সাধারণ পরিবারে৷ ১৯২২ সালে তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী' প্রকাশিত হয়৷ আর তার সঙ্গে সঙ্গেই কেঁপে ওঠে ব্রিটিশ রাজের ভিত৷ তাঁর অগ্নিগর্ভ কবিতার বজ্রনির্ঘোষের জন্য বেশ কয়েকবার কারারুদ্ধও হতে হয় কবিকে৷ এরপরেও, তাঁর উদ্যম, স্বাধীনচেতাকে দমন করতে পারে নি ব্রিটিশ রাজ৷ তৎকালীন ভারতবর্ষের রাজনৈতিক মুক্তির অন্যতম শর্ত যে হিন্দু-মুসলমান ঐক্য সে কথা তাঁর মতো করে আর কেউ বোঝেননি৷ তাই আজীবন তাঁর সাহিত্য সাধনায় ও জীবনাচরণে সেই ঐক্যের জয়গানই পেয়েছি আমরা৷ মাত্র ২২ বছরের সাহিত্য জীবনে অসংখ্য কবিতা, গান, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক রচনা করলেও, তিনি তাই সাধারণ মানুষের কাছে থেকে গেছেন ‘বিদ্রোহী' কবি হিসেবেই৷

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজনীন মুক্তি ও মানবতার অন্যতম প্রতীক সেই কাজী নজরুল ইসলামকে তাই আমরা শ্রদ্ধা জানাই৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন