গুরুত্বপূর্ণ শহর আজারি ফৌজের দখলে
৯ নভেম্বর ২০২০নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আশঙ্কা আরো গভীর হচ্ছে। একমাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে যুদ্ধ চলছে। আর্মেনিয়ার সেনা, আর্মেনিয়ার মদতপুষ্ট নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা এবং আজারি ফৌজের মধ্যে। রাশিয়া এবং অ্যামেরিকা একাধিকবার দুইপক্ষের মধ্যে শান্তিচুক্তি করানোর চেষ্টা করেছে। চুক্তিতে সই করলেও বাস্তবে যুদ্ধ বন্ধ করেনি কোনো পক্ষই। দুইপক্ষই একের পর এক শহর ধ্বংস করেছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। তারই মধ্যে রোববার আজারবাইজানের সেনা দাবি করেছে, নাগর্নো-কারাবাখের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর তারা দখল করেছে।
রোববার আজারি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে একই কথা দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নাগর্নো-কারাবাখের শহর শুশা এখন আজারি ফৌজের দখলে। আর্মেনিয়ার ভাষায় এই শহরটিরই নাম শুশি। আর্মেনিয়ার প্রশাসন এবং সেনা অবশ্য এই তথ্য স্বীকার করেনি। বরং তাদের বক্তব্য, শুশি অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ চলছে। আজারি ফৌজ শহরটির দখল নিতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই যুদ্ধে শুশা বা শুশি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক শহর। আজারি ফৌজ যদি সত্যিই শহরটির দখল নিয়ে থাকে, তা হলে যুদ্ধে বিরাট জয় হিসেবেই তা দেখতে হবে। নাগর্নো-কারাবাখের রাজধানীর ঠিক পিছনে একটি পাহাড়ের উপর শুশা বা শুশি শহরটির অবস্থান। ওই শহর আজারবাইজানের দখলে এলে সেখান থেকে খুব সহজেই রাজধানী শহর আক্রমণ করা যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। ক্রমগাত নজরদারি চালানো যাবে রাজধানীতে ঢোকার মূল রাস্তার উপর। সে কারণেই, শুশি জয় এই যুদ্ধে এত গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক ভাবে নাগর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের এলাকা। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই আর্মেনিয়ার মদতে সেখানে স্বাধীন প্রশাসন চালাচ্ছে এথনিক আর্মেনিয়ানদের একটি গোষ্ঠী। বিচ্ছিন্নতাবাদী সেই গোষ্ঠী নিজেদের আজারবাইজানের অংশ হিসেবে দেখতে চায় না। দীর্ঘ দিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার বিরোধ। গত দেড় মাসে যা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে।
এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স)