1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইন ইলেভেন: বাংলাদেশকেও নাড়িয়ে গেছে এই ঘটনা

১১ সেপ্টেম্বর ২০১১

আজ সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখ৷ ঠিক দশ বছর আগে আজকের দিনেই ঘটেছিল বিশ্বকে বদলে দেওয়া একটি ঘটনা৷ পৃথিবীর পরাশক্তি বলে পরিচিত অ্যামেরিকার গর্ব ‘টুইন টাওয়ার’ সন্ত্রাসীদের আত্মঘাতী বিমান হামলায় ভেঙে পড়েছিল নিমেষেই৷

https://p.dw.com/p/12WfQ
** FOR USE AS DESIRED WITH SEPT. 11 ANNIVERSARY STORIES--FILE **Smoke billows from one of the towers of the World Trade Center and flames as debris explodes from the second tower, in this Sept. 11, 2001, file photo. In one of the most horrifying attacks ever against the United States, terrorists crashed two airliners into the World Trade Center in a deadly series of blows that brought down the twin 110-story towers. This year will mark the fifth anniversary of the attacks. (AP Photo/Chao Soi Cheong/FILE)
সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশিদের উপরওছবি: AP

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও নানাভাবে নাড়িয়ে গেছে এই ঘটনা৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ৷ কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে৷ তিনি বললেন নাইন ইলেভেনের ঘটনা নানাভাবে জড়িত বাংলাদেশের সঙ্গে৷

‘‘টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনা বাংলাদেশের জনগণের খুব কাছের বিষয় ছিল, কারণ প্রচুর বাংলাদেশি নিউ ইয়র্কে থাকেন এবং ঐ ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশিও মারা গিয়েছিলেন৷ এছাড়া যেহেতু ইসলামের নামে ঐ হামলা চালানো হয়েছিল বলে বলা হচ্ছে আর বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম প্রধান দেশ তাই বাংলাদেশের উপরেও একটা চাপ ছিল৷''

অধ্যাপক আহমেদ বলেন, একটা বিষয় বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হয়েছে৷ সেটা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘কাউন্টার টেররিজম' নিয়ে কাজ করা৷ ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটা ভাল সম্পর্কও তৈরি হয়েছে এভাবে৷ তিনি বলেন নাইন ইলেভেনের ঘটনার ভয়াবহতায় বাংলাদেশ সন্ত্রাস বিষয়ে সতর্ক হয়ে গেছে৷ ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে খুব একটা সন্ত্রাস বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি৷ অধ্যাপক আহমেদ বলেন, ‘‘টেররিজমের বিষয়টা বাংলাদেশকে আরও সতর্ক করে তুলেছে৷ এবং পাকিস্তান ও ভারতের তুলনায় সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাফল্য দেখিয়েছে৷''

কিন্তু নিউ ইয়র্কে ঐ হামলার পরপরই মুসলিম বিশ্বের নাগরিকদের সন্দেহের চোখে দেখা শুরু হয়৷ ফলে অনেক নিরীহ মানুষ হয়রানি আর আক্রমণের শিকার হয়৷ যদিও ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানালেন দীর্ঘদিন অ্যামেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুল মোমেন৷ তিনি বর্তমানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ তিনি বললেন, ‘‘একেবারে শুরুতে কোনো সমস্যা না থাকলেও পরবর্তীতে দেখা গেল অন্যায়ভাবে মানুষের উপর সন্দেহ করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে৷ তবে আশার কথা হলো, এখন সেই অবস্থা অনেকটাই কমে এসেছে৷''

এদিকে লন্ডনে বসবাসরত বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, নাইন ইলেভেন বুঝিয়ে দিয়েছে যে, বিশ্বে দুটো পরাশক্তির সংঘাত না থাকলেও কীভাবে একটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনা সারা বিশ্বে সর্বনাশা সন্ত্রাসের সূচনা করেছে৷ এই সন্ত্রাসের চেহারা যেমন ভয়ানক তেমনি তাকে দমনের নামে যে ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা হয়েছে সেটাও ভয়ানক৷ এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্য যে আগুন জ্বেলেছে সেটা এখনো জ্বলছে৷ আগুন জ্বেলেছে ভারতীয় উপমহাদেশেও৷ বিমানযোগে চলাচল, এমনকি সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে বসবাসও বিপন্ন করে তুলেছে৷ অ্যামেরিকা যে একক সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হতে চেয়েছিল সেটাও এখন হুমকির মুখে৷''

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক