1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজেরিয়ার জয়ে আর্জেন্টিনার আশা

২২ জুন ২০১৮

শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে আইসল্যান্ড। কিন্তু ফিফা র‍্যাংকিয়ে ৪৮ নম্বরে আফ্রিকার ‘অদম্য সিংহ’ রীতিমতো দাপট দেখিয়ে জিতলো র‍্যাংকিং-এর ২২ নম্বরে থাকা আইসল্যান্ডের সঙ্গে।

https://p.dw.com/p/306Dw
Russland WM 2018 l Nigeria vs Island – Tor 1:0 - Torschuss
ছবি: picture alliance/dpa/A. Filippov

আইসল্যান্ড-নাইজেরিয়া

শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে আইসল্যান্ড। কিন্তু ফিফা র‍্যাংকিয়ে ৪৮ নম্বরে আফ্রিকার ‘অদম্য সিংহ’ রীতিমতো দাপট দেখিয়ে জিতলো র‍্যাংকিং-এর ২২ নম্বরে থাকা আইসল্যান্ডের সঙ্গে।

আর্জেন্টিনার সঙ্গে যে দুর্ধর্ষ ডিফেন্স রচনা করেছিল আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়ার সামনে তা ভেঙে পড়লো তাসের ঘরের মতো।

প্রথমার্ধে অবশ্যই ভালোই ঠেকিয়েছিল আইসল্যান্ড। নাইজেরিয়ার বেশ কয়েকটি আক্রমণের চেষ্টা তো ঠেকিয়েছেই, নিজেরাও তৈরি করেছিল গোলের বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ।

নাইজেরিয়াই এখন পর্যন্ত রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ও একমাত্র দল, যারা প্রথমার্ধে গোলপোস্টে একটিও শট নিতে পারেনি।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে সিংহরূপেই আবির্ভূত হয় নাইজেরিয়া। ৪৯ মিনিটের মাথায় আইসল্যান্ডের একটি আক্রমণ রুখে দিয়ে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে মোসেসের অ্যাসিস্টে দারুণ গোল করেন আহমেদ মুসা।

গোল শোধে মরিয়া আইসল্যান্ড অনেক চেষ্টা করেও ভাঙতে পারছিলো না নাইজেরিয়ার প্রতিরোধ।

৭৫ মিনিটে আবার মুসার ঝলক। প্রতিপক্ষের ডিবক্সে একাই কয়েকজন ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে বল সোজা জালে। ফল দাঁড়ায় নাইজেরিয়া ২ – আইসল্যান্ড ০।

৮৩ মিনিটে একটি আক্রমণে ডিবক্সে ফাউল হলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। কিন্তু ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আইসল্যান্ডের মিডফিল্ডার গিলফি সিগুরোসোন। জোরালো শট যায় গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে।

নাইজেরিয়ার এই জয়ে ডি গ্রুপ থেকে শেষ ষোলতে যাওয়ার আশা বেঁচে থাকলো আর্জেন্টিনার। তবে সেজন্য ২৬ তারিখে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের অবশ্যই হারাতে হবে নাইজেরিয়াকে, অন্যদিকে একই সময়ে অন্য ম্যাচে আইসল্যান্ড যাতে ক্রোয়েশিয়ার জিততে না পারে, সে প্রার্থনাও করতে হবে।

ব্রাজিল-কোস্টারিকা

সেন্ট পিটার্সবার্গে নীল রংয়ের অ্যাওয়ে জার্সি পরে খেলতে নামে ব্রাজিল৷ সাম্বার তালে খেলা যে ব্রাজিলকে সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিলেন, আজ মাঠে সেলেসাওদের দেখা গেল তেমন রূপে৷

খেলা শেষের পরিসংখ্যান বলছে ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময়ই বল ছিল ব্রাজিলের দখলে৷ গোলপোস্টে কোস্টারিকার মাত্র ৩টি শটের বিপরীতে ব্রাজিলের শট ছিল ২২টি৷

প্রথম ২০ মিনিট বেশ আক্রমণাত্মক খেলছিল কোস্টারিকা৷ বল পায়ে পেতে সমস্যা হচ্ছিল ব্রাজিলিয়ানদের৷ শক্ত ডিফেন্সের কারণে বল নিয়ে ডি বক্সেই ঢুকতে পারছিল না ব্রাজিল৷

বিশেষ করে নেইমারকে রাখা হয় কড়া মার্কিংয়ে৷ ২০ মিনিটেই ৩ বার ফাউলের শিকার হন এই স্ট্রাইকার৷ তবে ২০ মিনিট পর দেখা যায় অন্য ব্রাজিলকে৷ হঠাৎ করেই নিজেদের খুঁজে পেতে থাকেন নেইমাররা৷

২৫ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুস দুর্দান্ত একটি গোল দিয়ে বসলেও সাইড রেফারি অফসাইডের পতাকা তুললে তা বাতিল হয়৷

কৌটিনহো, মার্সেলো, উইলিয়ানরা প্রায় প্রতি মিনিটেই সাজাতে থাকেন একের পর এক আক্রমণ৷ প্রথম দিকের শক্ত ডিফেন্সেও সহজেই ফাঁকফোকর বের করতে থাকেন সেলেসাওরা৷

দ্বিতীয়ার্ধে খেলার শুরুতেই উইলিয়ানকে বসিয়ে মাঠে নামানো হয় দিয়েগো কস্তাকে৷ এরপর ব্রাজিলের আক্রমণ আরো ধারালো হয়ে ওঠে৷

উজ্জ্বীবিত ব্রাজিলের মুহুর্মুহু আক্রমণে এক সময় কোস্টারিকার ১১ জন খেলোয়াড়কেই দেখা যায় ডি বক্সের ভেতরে৷

৪৮ মিনিটে জেসুসের একটি দুর্দান্ত হেড গোলবারে লেগে ফেরত আসে৷ দ্রুতই বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আবার জোরালো শট করলেও কর্নার দিয়ে তা ঠেকান ডিফেন্ডার৷

Russland WM 2018 l Brasilien vs Costa Rica 2:0 Tor - Neymar
ছবি: Reuters/H. Romero

৫৫ মিনিটে নেইমারের জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে কোনোরকমে ঠেকান গোলকিপার কেইলর নাভাস৷

৭১ মিনিটে পালটা আক্রমণ থেকে নেইমারের দারুণ শট অল্পের জন্য মিস করে গোলপোস্ট৷

৭৭ মিনিটে নেইমারকে ডি বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ব্রাজিল৷ কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের আপত্তির মুখে ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি৷

৯০ মিনিট পর ৬ মিনিটের ইনজুরি টাইম দেয়া হয়৷ অতিরিক্ত সেই সময় কাজে লাগিয়ে দুই গোল করে সেলেসাওরা৷

৯২ মিনিটে গোলরক্ষক নাভাসের পায়ের নীচ দিয়ে জালে বল জড়ান কৌটিনহো৷ এতটাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ব্রাজিল দল যে, গোল উদযাপন করার সময় দৌঁড় দিতে গিয়ে মাঠে পড়ে যান কোচ তিতে৷ সৃষ্টি হয় হাস্যরসের৷ পরে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়েরা তাঁকে হাতে ধরে টেনে তোলেন৷

এরপর থেকেই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে কোস্টারিকার রক্ষণভাগ৷ হাতে নেই সময়৷ তার মধ্যে একদিকে গোল শোধের তাড়া, অন্যদিকে ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ৷ অতিরিক্ত সময়ের ৬ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর ৯৭ মিনিটে আবার কাউন্টার অ্যাটাক৷ ডগলাস কস্তার অসাধারণ পাসে বল পেয়ে যান নেইমার, স্কোর পরিণত হয় ২-০ তে৷

সুইজারল্যান্ড-সার্বিয়া

সুইজারল্যান্ডের কাছেই বলের দখল ছিল ম্যাচের ৬৩ ভাগ সময়। কিন্তু তাতে আসলে খেলার পুরো চিত্রটা ওঠে আসে না।

পুরো ৯০ মিনিটই দুই দলই আক্রমণ-পালটা আক্রমণে মাতিয়ে রেখছে দর্শক-সমর্থকদের।

খেলা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় টাডিচের পারফেক্ট পাসে, অসাধারণ টাইমিং দেখান আলেক্সান্ডার মিত্রোভিচ। শক্তিশালী হেডারে বল জড়ান সুইজারল্যান্ডের জালে। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় সুইসরা।

প্রথমার্ধের বাকি সময়টাতে সুইজারল্যান্ড বেশ আধিপত্য দেখালেও গোল শোধ করতে পারেনি।

বল দখলে মরিয়া ছিলো সার্বিয়াও। বিপজ্জনক ট্যাকল করায় ১৫ মিনিটের মধ্যে তিন তিনটি হলুদ কার্ড দেখে বসেন সার্বিয়ার তিন মিডফিল্ডার। ৩৩ মিনিটে সের্গেই সাভিচ এবং ৩৯ মিনিটে লুকা মিলিভয়েভিচ এবং প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ৪৭ মিনিটে নেমানিয়া মাটিচকে দেখতে হয় হলুদ কার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুতই সমতা ফেরায় সুইজারল্যান্ড। রকেট গতিতে অবিশ্বাস্য গতিতে শট নেন গ্রানিট জাকা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল জড়ায় সার্বিয়ার জালে।

স্টেডিয়াম যখন ১-১ ড্রয়ের জন্য প্রায় প্রস্তুত, তখন জাদু দেখালেন শাকিরি। সার্বিয়ান ডিফেন্সের ভুলে খালি মাঠে বল পেয়ে দৌঁড়ে চলে যান ডি বক্সের ভেতরে। একা গোলকিপারকে কাটিয়ে স্কোর ২-১ করতে কোন ভুল করেননি তিনি।

এই গোলে, সার্বিয়াকে টপকে ই গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে চলে এলো সুইজারল্যান্ড। সমান চার পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে গ্রুপের শীর্ষে আছে ব্রাজিল।

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য