নভেম্বরে আবার বাংলাদেশের গলদা চিংড়ি যাবে ইউরোপে
১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯গলদা চিংড়িতে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক নাইট্রোফুরান সনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশই ৬ মাসের জন্য ইউরোপে গলদা চিংড়ি রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়৷ তাই গত ১৯শে মে থেকে ইউরাপের বাজারে গলদা চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে৷ তবে রপ্তানিকারকরা ইতিমধ্যেই গলদা চিংড়িতে নাইট্রোফুরানের উপস্থিতির কারণ সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন৷ বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রফতানি কারক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ শাহনেওয়াজ ডয়চে ভেলেকে জানান, একটি খাবার খেকে গলদা চিংড়িতে নাইট্রোফুরান সংক্রামিত হয়৷ গলদা চিংড়িকে তারা ওই খাবার আর দিচ্ছেন না৷ তাই গলদা চিংড়ি এখন নাইট্রোফুরান মুক্ত৷
তিনি জানান, ঈদের পর চিংড়ি রপ্তানিকারকরা বৈঠকে মিলিত হবেন৷ তারা আশা করছেন নভেম্বর মাস থেকেই আবার ইউরোপে গলদা চিংড়ি রপ্তানি করতে পারবেন৷
সৈয়দ শাহনেওয়াজ জানান, এই সময়ে গলদা চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ থাকায় তাদের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি৷ কারণ নভেম্বর থেকেই মূলত গলদার মৌসুম শুরু হয়৷ আর পৃথিবীর অন্যান্য দেশে গলদা চিংড়ি রপ্তানি অব্যাহত আছে৷
বাংলাদেশের গলদা চিংড়িতে নাইট্রোফুরানের উপস্থিতি ধরা পড়ে গত বছরের শেষের দিকে বেলজিয়ামে পাঠানো একটি চালানে৷ বাংলাদেশর রপ্তানি করা হিমায়িত খাদ্যের অধিকাংশই হল চিংড়ি৷ গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৪৫ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলারের হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি করেছে৷ আর রপ্তানি করা চিংড়ির মধ্যে গলদা চিংড়ি হল ৩৫ ভাগ৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক