নববর্ষের ঐতিহ্য হালখাতা
বাংলা নববর্ষ মানেই হালখাতা। লক্ষ্মী-গণেশের পায়ে খাতা ঠেকিয়ে নতুন বছরের ব্যবসার হিসেব।
হিসেবের শুরু
পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা বাংলা নববর্ষের দিন নতুন হিসেবের বছর শুরু করেন। লাল শালুতে তৈরি হালখাতাই হলো নতুন বছরের হিসেবের খাতা।
কম্পিটারের পাশে হালখাতা
খাতায় হিসেব লেখার চল উঠে গেছে। এখন সবই হয় কম্পিউটারে। কিন্তু প্রায় সব ব্যবসায়ী হালখাতা কেনেন। কম্পিউটারের পাশে প্রতি বছর ঐতিহ্যের হালখাতাটি রেখে দেওয়া হয়।
লক্ষ্মী-গণেশের আশীর্বাদ
হিন্দু বাঙালিরা নববর্ষের সকালে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করেন। তাদের সামনে রাখা হয় হালখাতা। ধনের দেবতার পায়ে ঠেকিয়ে নতুন বছরের হিসেবের খাতা খোলা হয়।
হালখাতা শিল্প
পুরনো কলকাতায় এখনো হালখাতা তৈরির একাধিক দোকান আছে। বছরের এই সময়টায় সব কাজ ফেলে হালখাতা তৈরি হয় ওই সমস্ত দোকানে।
ভরে যায় গঙ্গার ঘাট
বহু ব্যবসায়ী হালখাতা নিয়ে চলে যান গঙ্গার ঘাটে। সেখানে পুরোহিতের সামনে বসে হালখাতার পুজো হয়।
দোকানে গেলেই মিষ্টি
পয়লা বৈশাখের দিন কলকাতার প্রায় প্রতিটি দোকানে মিষ্টি, সরবত খাওয়ানো হয়। বড় বড় দোকান এই দিন পরিচিত ক্রেতার কাছ থেকে বায়না নিয়ে রাখে।
নতুন প্রজন্ম নেই
ইদানীং অবশ্য হালখাতার চল কমেছে। নতুন প্রজন্মের ব্যবসায়ীরা আর পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাইছেন না। লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করলেও তারা আর হাল খাতা কিনছেন না।
খাতার স্তূপ
কলেজস্ট্রিট, বড়বাজারের পুরনো দোকানে গেলে এখনো হালখাতার স্তূপ দেখতে পাওয়া যায়। বছরের পর বছর ধরে জমিয়ে রাখা হয়েছে খাতা। ইতিহাসের দলিল হয়ে আছে খাতাগুলি।