1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নদী ভাঙনের হুমকির মুখে উত্তরবঙ্গ

১০ অক্টোবর ২০০৯

ব্রক্ষপুত্র ও বাঙ্গালীসহ কয়েকটি নদীতে হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বগুড়া এবং কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে৷

https://p.dw.com/p/K3j1
ফাইল ছবিছবি: EUCC-Deutschland

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী বন্যার আগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারলে যমুনা সেতু হয়ে উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলের সাথে দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে৷

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূলবাঁধে আঘাত করায় ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে৷ সারিয়াকান্দির অন্তরপাড়া থেকে তিতপরল পর্যন্ত প্রায় সোয়া ২ কিলোমিটার এবং ধুনট উপজেলার শওরাবাড়ি থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা দড়িপাড়া পর্যন্ত আরও প্রায় ১ কিলোমিটার বাঁধ নদী ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে৷ ভাঙনের কারণে সারিয়াকান্দিতে মূলবাঁধ বিলীন হবার যে আশংকা করা হচ্ছে তা হলে যমুনা ও বাঙ্গালী নদী একীভূত হয়ে যেতে পারে৷ সারিয়াকান্দিকে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর মধ্যে থাকা এ বাঁধটি রক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যে ১৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে৷ ১৩০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে৷

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ওই নদীতে পানি বেড়েছে ১.০৬ মিটার৷ সারিয়াকান্দিতে বাঁধ ভেঙে ওই দু'টি নদী একত্রিত হলে কী ধরণের বিপর্যয় হতে পারে সে কথা জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম মমতাজ উদ্দিন বলেন, ওই দুই নদীর পানির প্রবাহ একত্রিত হয়ে আঘাত হানতে পারে নলকা সেতুসহ বাঙ্গালী নদীর পশ্চিম তীরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে৷ এ কারণে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ের সড়কও বিলীন হতে পারে আর তা হলে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যমুনা সেতু হয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে৷

অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের অতি অভাবী জেলা কুড়িগ্রামে ধরলা, দুধকুমার এবং গঙ্গাধর নদীর ভাঙনে গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০৮টি পরিবারের অন্তত ২ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে৷ ধরলা নদীর ভাঙনে শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরশিতাইঝাড় এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৭০ মিটার বিলীন হয়েছে ধরলা নদীর গর্ভে৷ কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি মমিনুল ইসলাম মঞ্জু জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত মাত্র ২৪ ঘন্টায় এ নদীর ভাঙনে চরশিতাইঝাড় গ্রামে গৃহহীন হয়েছে ১১৪টি পরিবার৷ ওই এলাকায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইস গেট ও ১২০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও হুমকির মুখে পড়েছে৷

প্রতিবেদন: হাসিবুর রহমান বিলু, বগুড়া, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার