1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন বছরে মানুষের দাম বাড়ুক, জিনিসের কমুক

১৩ এপ্রিল ২০২২

১৪২৮ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনে দেশ জুড়ে ছিল কঠোর লকডাউন৷ তবে এখন করোনা-আতঙ্ক নেই বললেই চলে৷  ১৪২৯-এর এই প্রথম সকাল তাই স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়িমুক্ত, মাস্ক খুলেই তাই নববর্ষ উদযাপন করছে বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/49tvw
Lotusblüte Seerose Teich Lotus Blüte
ছবি: Fotolia/Aamon

 

শুভ নববর্ষ!

দু বছর পর নববর্ষ উদযাপনে ফিরেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা৷ রমনার বটমূলে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালাও ফিরেছে দু বছর পর৷ নতুন এই বছরটা এলো পবিত্র রমজান মাসে৷ বাংলাদেশে রমজান মানেই তো পেঁয়াজ, ছোলা, তেলসহ সব দ্রব্যের মূল্যে দাউ দাউ আগুন৷ ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তব অজুহাত পেয়ে এখন তো এক শ্রেণির ব্যবসায়ী আরো বেশি বেপরোয়া৷ বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা দেখা গেলেও কার্যকারিতা নেই৷ ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত তো বটেই, মধ্যবিত্তদের একাংশেরও প্রাণ একেবারে ওষ্ঠাগত৷ বিশ্বকাঁপানো করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে, কিন্তু বাংলাদেশে মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের আগুন কখনো বাগে আসে না৷ সিয়াম সাধনার মাসে দেশের বেশির ভাগ মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট তাই অমোচনীয় নিয়তি৷ গত বছর এই  দিনে ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনের শুরুতে লেখা ছিল,‘‘... নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, কাজ হারানো আর অনিশ্চয়তায় অদ্ভুত একটা অবস্থার মধ্যে আছেন দেশের মানুষ।'' দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত এই মুহূর্তে আরো তীব্র৷ বাজারের এই ‘আগুন' যেন তাড়াতাড়ি নেভে- নববর্ষের প্রথম দিনে এ আমাদের প্রথম কামনা৷

BdT Neujahr in Bangladesch
ছবি: AP

দেশের অর্থনীতি করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলেও ভেঙে পড়েনি৷ খুব কাছের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা যখন বিপর্যস্ত, বাংলাদেশের সরকারসংশ্লিষ্টরা তখন ওই দ্বীপদেশটির সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপের পার্থক্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন বারবার৷ শ্রীলঙ্কা এবং আরো কিছু দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট ভালো৷ তবে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জও কম নয়৷ মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সুষ্ঠু নির্বাচন, গনতন্ত্রসহ অনেক বিষয়েই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে সমালোচনা রয়েছে৷ 

 ১৪২৮ সালের শেষ দিনে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় এসেছে৷ চার জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত৷ পর্যায়ক্রমে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ বহুল ও স্বল্প আলোচিত সব হত্যাকাণ্ডেরই যেন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়- নতুন বছরে এ-ও সবার চাওয়া৷

১৪২৮-র শেষলগ্নে হৃদয় মণ্ডলসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষককে হামলা, হয়রানির শিকার হতে হয়েছে৷ শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষকের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা রক্ষা খুব জরুরি৷ নতুন বছরে বাংলাদেশ সৎ, শান্তিপ্রিয়, দরিদ্রের জন্য, দুর্বলের জন্য, সংখ্যালঘুর জন্য আরো বাসযোগ্য হোক৷

এসিবি/কেএম