নতুন বছরের প্রত্যাশা
১ জানুয়ারি ২০১৩গত ১৯ বছরের মধ্যে এই প্রথম দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে নববর্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দেখলো উত্তর কোরিয়া৷ কিম জং উন-এর এ ভাষণ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়৷ তাঁর বাবা, অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট কিম ইল সুং কখনোই এভাবে বছরের শুরুত দেশবাসীকে আশার বাণী শোনান নি৷ তাঁর মূলনীতি ছিল সামরিক বাহিনীকে অগ্রাধিকার দিয়ে তারপর বাকি সব নিয়ে ভাবা৷ তাঁর ছেলে সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব কমানোর কথা একেবারেই বলেননি, তবে বলেছেন এমন এক কথা যা কিনা পৃথিবীর প্রতিটি শান্তিকামী মানুষই শুনতে চান৷ ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দেশের মধ্যে বিভাজন দূর করা, একতাবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া আর উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ দূর করা৷'' পার্শবর্তী দুটি দেশের মধ্যে বৈরি মনোভাব যে ক্ষতি ছাড়া উপকার করেনা তা-ও পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন তিনি৷
অবশ্য তার মানে এই নয় যে কিম জং উন বাবার দেখিয়ে যাওয়া পথ থেকে একেবারে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন৷ ক'দিন আগেই যে দূর পাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করে বিজ্ঞানীরা হৈচৈ ফেলে দিলেন তাঁদের ঠিকই তুমুল প্রশংসা করেছেন তিনি৷ সঙ্গে যে কথাটা বলেছেন তা একেবারে আদর্শ নেতাসুলভ৷ কিম জং উনের ভাষায়, ‘‘ওই সাফল্যকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে আমাদের পুরো দল, গোটা দেশ, দেশের সব মানুষকে এ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার জন্য এ বছর কঠিন পরিশ্রম করতে হবে৷''
কিম জং উনের এ ভাষণ যে দক্ষিণ কোরিয়া খুব গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে৷ সৌল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইয়াং মু জিন মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার নতুন বছরের প্রথম বক্তৃতাকে ইতিবাচকভাবেই দেখা উচিত৷ তিনি বলেছেন, ‘‘তাঁর বক্তব্যে নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক সংস্কারের ইঙ্গিত রয়েছে৷ আন্ত সীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নের ইচ্ছে রয়েছে – এমন একটা বার্তাও পাঠিয়েছেন তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে৷''
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)