নতুন নাগরিকত্ব আইন মুসলিমবিরোধী নয়: মোদী
২২ ডিসেম্বর ২০১৯বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সংঘর্ষে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ বিক্ষোভ ও সহিংসতা কমারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
গত সপ্তাহে পাস হওয়া এই আইনে প্রতিবেশি বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতের নাগরিকত্ব আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে৷ কিন্তু এই সংখ্যালঘুর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে মুসলিমদের৷ বিক্ষোভকারীরা পরদিনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ তাদের দাবি, এই আইন ভারতের অসাম্প্রদায়িক সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক৷
এই বিক্ষোভের মধ্যেই দিল্লির নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন মোদী৷ রাজধানী দিল্লির এই সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘এই আইন ১৩০ কোটি ভারতীয়র ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না৷ এবং আমি ভারতের মুসলিমদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই আইন তাদের অবস্থানেও কোনো পরিবর্তন আনবে না৷’’
তার সরকার কোনো ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই সংস্কার কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বলেও দাবি করেন মোদী৷ তিনি বলেন, ‘‘কল্যাণমূলক প্রকল্প হাতে নেয়ার সময় আমরা কাউকেই জিজ্ঞেস করি না, তিনি মসজিদে যান না মন্দিরে৷’’
বরং বিরোধী দলগুলোর দিকে পালটা তির ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলছেন, সরকারকে দুর্বল করার জন্য সত্য বিকৃত করছে তারা৷
রোববারও রাজধানী নতুন দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে৷ আগামি বছরের শুরুতেই দিল্লিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
কঠোর অবস্থান
বিক্ষোভ মোকাবেলায় মোদীর সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে৷ জমায়েত ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা৷ বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে, তথ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ মাধ্যমকে সহিংসতা ‘উসকে দেয়' এমন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷
নতুন দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামের বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ কিন্তু এতো কিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছে না বিক্ষোভকারীদের৷
শনিবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নতুন আইন নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা জানাতে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ বিজেপি দেশজুড়ে দুই শতাধিক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে৷
এডিকে/এফএস (এপি, রয়টার্স)