ভারতে জার্মান উৎসব
১৯ অক্টোবর ২০১২ভারত ও জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ‘অপরিসীম সুযোগ' শীর্ষক বর্ষব্যাপী ধারাবাহিক উৎসব অনুষ্ঠান৷ তারই অঙ্গ হিসেবে শনিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে মেগা-অনুষ্ঠান ভারত-জার্মান নগরায়ন বা আর্বান মেলা৷ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, স্থাপত্যকলা,সাংস্কৃতিক ও মনোরঞ্জনের রঙীন ইন্দ্রজাল৷
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতে জার্মান রাষ্ট্রদূত মিশায়েল স্টাইনার বললেন, এই মেলার থিম হলো,আর্বান স্পেস বা নগরায়নের পরিসর৷ কীভাবে ভারতের বিভিন্ন শহরের পরিসর আরো সুবিন্যস্তভাবে বাড়ানো যায়, যাতে ভারতের জনসংখ্যার চাপ সামাল দেয়া যায়৷
ভবিষ্যৎ মেগাসিটির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার হাল হকিকত তুলে ধরতে মেলায় যোগ দিচ্ছে প্রথম সারির বহু জার্মান কোম্পানি৷ তাদের ক্ষমতা আছে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার৷ যেমন,প্রযুক্তিগত সমাধান, যাতায়াত, পরিবেশ বান্ধব এনার্জি, নির্মাণকাজের নতুন উদ্ভাবন এবং জল সম্পদের ব্যবস্থাপনা৷
মেলার সাংস্কৃতিক তথা মনোরঞ্জনের দিকটি দর্শক-শ্রোতাদের কাছে সমান আকর্ষণীয় হবে, হলফ করে বলা যায়৷ কী কী থাকছে তাতে? জার্মান রাষ্ট্রদূত বললেন, থাকছে সাহিত্য আসর, জ্যাজ কনসার্ট, ডিজে মিউজিক আর থাকছে বাভারিয়ার বিখ্যাত বিয়ার আর খাবার দাবার৷
শনিবার শুধু মেলা নয়, উদ্বোধন হবে ‘জার্মান হাউস অফ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন' সংক্ষেপে ডিডবল্যুআইএইচ ভবনের৷ ১৬টি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থা এর সঙ্গে যুক্ত৷ ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের কাছে যা হয়ে উঠবে একই ছাদের নীচে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের এক কেন্দ্রভূমি৷
এরই পাশাপাশি ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া প্যাসিফিক বাণিজ্য সম্মেলন৷ যোগ দিচ্ছে জার্মানির প্রায় ৮০০ নামিদামি কোম্পানি৷ তারা এশিয়ায় বাণিজ্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে৷ বিশেষ জোর দেয়া হবে ভারতের ওপর৷ ভারতের বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার দিন শেষ৷ ভারত যে বিশ্বের জন্য দরজা খুলে দিতে চলেছে, এটা হবে তারই এক শো-কেস৷
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাক্স ম্যুলার ভবনের প্রধান, ডয়চে ব্যাংকের প্রধান, বিখ্যাত জার্মান স্থপতি মার্কুস হাইন্সডর্ফ প্রমুখ৷