নখ কাটার যন্ত্রে প্রাণ বাঁচল পাখির
১৯ মে ২০১৭ইংরিজিতে বলে ‘স্ক্রিচ আউল’, বোধহয় খুব মিহি একটা চিঁ চিঁ আওয়াজ করে ডাকে বলে৷ একটা পাখা নাইলনের সুতোয় জড়িয়ে অসহায়ভাবে ঝুলছিল৷ তাকে ধরতে গেলে সে আবার পাখা ঝটপটিয়ে ঐ ঝোলা অবস্থাতেই গোল হয়ে ঘোরে – আর চিঁ চিঁ আওয়াজ করে ডাকে৷
মাথার ক্যামেরা বসিয়ে আমাদের মহানুভব অতি সন্তর্পণে ছোট্ট পেঁচাটিকে ধরলেন, শান্ত করলেন, তারপর নেইল ক্লিপার, মানে নখ কাটার ছোট্ট যন্ত্রটি দিয়ে পেঁচার পাখায় জড়ানো নাইলনের তারটি কাটতে শুরু করলেন৷
এক হাতে পাখিটিকে ধরে, নেইল ক্লিপার দিয়ে তার পাখার সরু হাড়ে জড়ানো সেই তেএঁটে নাইলনের সুতো কাটা প্রায় অসাধ্য৷ ওদিকে পাখিটার সাথে কথা বলে চলেছেন৷ পাখিটাও যেন বুঝতে পেরেছে, এ মানুষ আমার অপকার করবে না – বা হয়ত ঝিমিয়ে পড়েছে – কিংবা হয়ত পশুপাখিদের দুর্ভাগ্য, দুঃখ, ব্যথা-বেদনা মেনে নেওয়ার আশ্চর্য ক্ষমতার বলে স্রেফ চুপ করে রয়েছে...
‘ওরে, তুই মরে যাস না’ – আকুল হয়ে বলছেন তার ত্রাণকর্তা৷ তারপর এক হাতে সুতো কাটা সম্ভব নয় দেখে, পাখিটাকে মাটিতে রেখে দু'হাত ব্যবহার করে সুতোটা কেটে পাখার পালকগুলোকে মুক্ত করে দিলেন৷ পেঁচাটা উড়ে গিয়ে একটা ডালে বসল...
কিন্তু ডানাটা যে ঝুলে রয়েছে? আবার ধরে পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে কেমন হয়? ধরতে গেলেই পেঁচাটা জঙ্গলের ভেতর ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেশ কিছুদূর উড়ে গিয়ে অন্য একটা গাছে বসল, যেন বলছে, এখন আমি ভালো আছি...
কোথাও মুচকি হাসলেন ঈশ্বর৷
এসি/ডিজি