ধোঁয়াশার নগরী
‘স্মগ’ মানে হচ্ছে কুয়াশা আর ধোঁয়ার সংমিশ্রণ৷ অর্থাৎ এটা বায়ু দূষণের একটা ধরণ৷ বিশ্বের অনেক দেশের মানুষই এখন এই দূষিত বায়ুর শিকার হচ্ছেন৷ এ ছবিঘরে থাকছে সেসব কথাই৷
বেইজিং, চীন
চীনের এই মহানগরীটি এবারের শীতে ধোঁয়াশার শহরে পরিণত হয়েছে৷ ফলে সেখানকার অধিবাসীদের মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাইরে বের হতে হচ্ছে৷ অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ১০টি ধোঁয়াশার শহরের নামের তালিকায় বেইজিংয়ের নাম নেই৷
আহওয়াজ, ইরান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকা সবচেয়ে বেশি ধোঁয়াশার নগরী হিসেবে এসেছে ইরানের আহওয়াজ শহরের নাম৷ ঐ শহরে অনেকগুলো ভারী শিল্প-কারখানার অবস্থান, যেখানে পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তেল, বিভিন্ন ধরনের ধাতু ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার হয়৷
উলান বাটোর, মঙ্গোলিয়া
বিশ্বের অন্যতম শীতল রাজধানী মঙ্গোলিয়ার উলান বাটোর৷ ফলে শীতের সময় সেখানকার অধিবাসীরা ঘর গরম রাখতে বাড়িতে কয়লা আর কাঠ ব্যবহার করে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করে৷ আর এই ব্যবস্থাটাই নগরীর প্রায় ৭০ ভাগ ধোঁয়াশার কারণ৷ তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় আহওয়াজের পরই রয়েছে উলান বাটোরের নাম৷
লাহোর, পাকিস্তান
রাস্তার গণপরিবহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, আবর্জনা পোড়ানো ও পার্শ্ববর্তী মরুভূমি থেকে ময়লার কারণে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী পরিণত হয়েছে ধোঁয়াশার শহরে৷
নতুন দিল্লি, ভারত
গত ৩০ বছরের দিল্লিতে গাড়ির সংখ্যা প্রায় দু’লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ৷ এরপরও অবশ্য কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোই নগরীর ৮০ শতাংশ বায়ু দূষণের কারণ৷
রিয়াদ, সৌদি আরব
সৌদি আরবের মতো দেশে ধুলা ঝড়ের কারণে ধোঁয়াশা তৈরি হয়৷ এছাড়া সেখানকার ঘন অতিবেগুনি রশ্মি যানবাহন ও শিল্প কারখানার নির্গত ধোঁয়াকে ওজন স্তরে পাঠিয়ে থাকে৷
কায়রো, মিশর
রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধির কারণে কায়রোতে বায়ু দূষণ বাড়ছে৷ এর ফলে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সেখানকার অধিবাসীরা৷
ঢাকা, বাংলাদেশ
জার্মানির মাইনৎস শহরের মাক্স-প্লাংক ইনস্টিটিউটের এক জরিপে জানা গেছে যে, বায়ু দূষণের কারণে ঢাকায় প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়৷ এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ঢাকার বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা৷