খাদ্য নিরাপত্তা
১৮ অক্টোবর ২০১২ঢাকার অদূরে ধামরইয়ের ফুকুটিয়া এলাকায় এবারও ধান ফলিয়েছেন কৃষকরা৷ ধানে কিছুটা পাক ধরেছে৷ আর কয়েকদিন পরই ঘরে উঠবে ধান৷ কিন্তু কৃষকদের মুখে হাসি নেই৷ কারণ তাদের লোকসান গুনতে হবে৷ উৎপাদনের চেয়ে ধানের বাজার দর কম৷ তাই তারা এবার ধান চাষ করলেও সামনের বছর আর করবেন না৷
আর কয়েক কিলোমিটার দূরের গ্রামে মাঠের পর মাঠ ফাঁকা পড়ে আছে৷ কারণ হতাশ কৃষকরা লোকসানের কারণে এবার ধানের চাষই করেন নি৷ অপেক্ষায় আছেন শাক-সবজি চাষের৷
ধানচাষে কৃষকদের এই অনীহাকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হিসেবেই দেখছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা৷ বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. এম আসাদুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে জানান, তাদের এই হতাশা সারা দেশের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে৷ কারণ বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত৷ তিনি মনে করেন, কৃষকদের ধান চাষে ধরে রাখতে হলে হয় উৎপাদন বাড়িয়ে খরচ কমাতে হবে৷ অথবা ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে৷ অব্যাহতভাবে লোকসান হলে কৃষকদের ধান চাষে ধরে রাখা যাবেনা৷
বাংলাদেশে প্রতিবছর কমবেশি ১ কোটি ১০ লাখ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়৷ আউশ, আমন এবং বোরো ধান মিলিয়ে বছরে গড়ে উৎপাদনের পরিমাণ ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টন৷ আর চাহিদাও প্রায় সমান পরিমাণ৷ তাই ধানচাষে কৃষকদের অনীহা বাড়তে থাকলে খাদ্য ঘাটতি আশঙ্কা করছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা৷