1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্ষককে ধরল র‌্যাব, ‘ছাড়ল' পুলিশ!

১৪ নভেম্বর ২০১৬

এটা কি পুলিশের কাণ্ডজ্ঞানহীনতা, অসতর্কতা, নাকি অন্য কিছু? এক গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে র‌্যাব যাকে গ্রেপ্তার করল, পুলিশের সঙ্গে আদালতে গিয়ে সেই ‘ধর্ষক' লাপাত্তা হয়ে গেল!

https://p.dw.com/p/2SfIY
র‌্যাব
প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images/AFP

ধর্ষণের ঘটনা কমছে, নাকি বাড়ছে? এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল যিনি বলবেন, কমছে৷ তবে ধর্ষণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে অনেকেই হয়ত বলবেন, ‘‘সেরকম কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না৷'' তাদের এমনটি বলার সুযোগ আরো হয়ত বাড়িয়ে দেবে নীচের এই ভিডিওতে বর্ণনা করা ঘটনা৷ভিডিওটি দেখলেই জানবেন, মাঝে মাঝে ধর্ষণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলেও সমন্বিত প্রয়াসের অভাবে সেই উদ্যোগও কীভাবে ভেস্তে যায়৷

অবশ্য ঘটনাটি শুধু এই ইউটিউব ভিডিওতেই নয়, বাংলাদেশের প্রায় সব সংবাদ-পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালেও এসেছে৷ খবরের বিবরণে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর এক গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাফসান হোসেন রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৷ কথিত ধর্ষককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়৷ রবিবার, অর্থাৎ ১৩ই নভেম্বর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করানোর জন্য পুলিশ আসামীকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে যায়৷ অবাক করা কাণ্ড, পুলিশ প্রহরায় থাকা অবস্থাতেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় আসামি৷ এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

আসামী রুবেলকে ধরার পর র‍্যাব প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিল, ধর্ষণের শিকার ওই গারো তরুণী ঢাকার একটি বিউটি পারলারে কাজ করেন৷ গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে তাঁর হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে বাড্ডার এক মেসে গেলে মেসের ব্যবস্থাপকসহ তিন জন ওই তরুণীকে প্রবেশ করতে না দিয়ে স্থানীয় বখাটে রুবেলকে ডেকে আনে৷ পরে মেসের কাছের এক পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়৷ গত ২৮ অক্টোবর ওই তরুণী মামলা করেন৷

মামলার পর র‌্যাব এক আসামীকে আটক করলেও পুলিশ তাকে ধরে রাখতে পারল না!

এসিবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য