ধর্ষককে ধরল র্যাব, ‘ছাড়ল' পুলিশ!
১৪ নভেম্বর ২০১৬ধর্ষণের ঘটনা কমছে, নাকি বাড়ছে? এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল যিনি বলবেন, কমছে৷ তবে ধর্ষণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে অনেকেই হয়ত বলবেন, ‘‘সেরকম কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না৷'' তাদের এমনটি বলার সুযোগ আরো হয়ত বাড়িয়ে দেবে নীচের এই ভিডিওতে বর্ণনা করা ঘটনা৷ভিডিওটি দেখলেই জানবেন, মাঝে মাঝে ধর্ষণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলেও সমন্বিত প্রয়াসের অভাবে সেই উদ্যোগও কীভাবে ভেস্তে যায়৷
অবশ্য ঘটনাটি শুধু এই ইউটিউব ভিডিওতেই নয়, বাংলাদেশের প্রায় সব সংবাদ-পত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালেও এসেছে৷ খবরের বিবরণে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর এক গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাফসান হোসেন রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৷ কথিত ধর্ষককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়৷ রবিবার, অর্থাৎ ১৩ই নভেম্বর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করানোর জন্য পুলিশ আসামীকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে যায়৷ অবাক করা কাণ্ড, পুলিশ প্রহরায় থাকা অবস্থাতেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় আসামি৷ এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
আসামী রুবেলকে ধরার পর র্যাব প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিল, ধর্ষণের শিকার ওই গারো তরুণী ঢাকার একটি বিউটি পারলারে কাজ করেন৷ গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে তাঁর হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে বাড্ডার এক মেসে গেলে মেসের ব্যবস্থাপকসহ তিন জন ওই তরুণীকে প্রবেশ করতে না দিয়ে স্থানীয় বখাটে রুবেলকে ডেকে আনে৷ পরে মেসের কাছের এক পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়৷ গত ২৮ অক্টোবর ওই তরুণী মামলা করেন৷
মামলার পর র্যাব এক আসামীকে আটক করলেও পুলিশ তাকে ধরে রাখতে পারল না!
এসিবি/ডিজি