1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্মের নামে সন্ত্রাস করছে লস্কর-ই-তৈয়বা

ফাহমিদা সুলতানা৩ ডিসেম্বর ২০০৮

লস্কর-ই-তৈয়বা, উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠী হিসেবে ইতোমধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছে৷ ধারণা করা হয় পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা এবং আল কায়দার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে এই ইসলামী গোষ্ঠীটি৷

https://p.dw.com/p/G8DR
ভারত ও পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনা বাড়ছেছবি: AP

লস্কর-ই-তৈয়বা, নামের অর্থ আর্মী অফ দ্য পাইয়াস বা ধার্মিক সেনাবাহিনী৷ সন্ত্রাসী সংস্থাগুলোর মার্কিন ওয়াচ তালিকাতেও গোষ্ঠীটির নাম রয়েছে৷ যুক্তরাজ্য এবং আরো কয়েকটি পশ্চিমের দেশ গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷

লস্কর-ই-তৈয়বা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে৷ ইসলামী উগ্রপন্থী হিসেবে পরিচিত হাফিজ মোহাম্মদ সাঈদ এই গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা৷ মারকাজ দাওয়া-ওয়াল ইরশাদ-এর সামরিক শাখা হিসেবেই লস্কর-ই-তৈয়বা প্রতিষ্ঠিত হয়৷ পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরের কাছে মুরিদকেতে মারকাজ দাওয়া-ওয়াল ইরশাদ-এর সদর দফতর৷

লস্কর-ই-তৈয়বা পরিচালনার জন্যে সৌদী দাতা গোষ্ঠী এবং পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে সাঈদ প্রয়োজনীয় তহবিল পান বলে ধারণা করা হয়৷ জঙ্গীদের সেল এবং প্রশিক্ষণের জন্যে পরবর্তীতে মুরিদকের কাছে বেশ বড় একটি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে৷

মুম্বাইয়ে হামলার পর ভারত যেসব সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে হস্তান্তরের জন্যে পাকিস্তানের কাছে দাবি জানিয়েছে সাঈদ তাদের মধ্যে একজন৷ মুম্বাই হামলায় ১৮৮ জন প্রাণ হারান৷ তবে ভারত শাসিত কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার মুখপাত্র, সম্প্রতি মুম্বাইয়ে ভয়াবহ কয়েকটি হামলার সঙ্গে গোষ্ঠীটির জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন, যদিও ভারতে কয়েকটি বড় ধরনের হামলার জন্যে এই গোষ্ঠীটিকেই দায়ি করা হয়৷

২০০১ সালের ডিসেম্বরে ভারতের পার্লামেন্টে হামলার জন্যে লস্কর-ই-তৈয়বাকে দায়ি করা হয়৷ ওই হামলায় ১০ জন প্রাণ হারান৷ আর এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান উপনীত হয় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে৷ মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক কূটনীতির কারণেই পারমানবিক শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যেকার যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়৷

লস্কর-ই-তৈয়বা ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলার কথাও অস্বীকার করে৷ তবে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের জানুয়ারীতে এই গোষ্ঠীটিকে বহিস্কার করে৷ এর পরের বছরই পাকিস্তান যখন আলকায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে আটক করে, তখনই আবার উঠে আসে লস্কর-ই-তৈয়বার নাম৷

২০০৫ সালের ৭-ই জুলাই লন্ডনে বোমা হামলায় ৫৩ জন প্রাণ হারানোর পর আবারও উঠে আসে লস্কর-ই তৈয়বার নাম৷ চারজন আত্মঘাতী হামলাকারীর মধ্যে দুজনই ছিল পাকিস্তানী বংশদ্ভূত ব্রিটিশ৷

লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ, ১৯৮০-র দশকে আফগানিস্তানে লড়াই করেছেন, তবে ২০০২ সালে পাকিস্তান থেকে গোষ্ঠীটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার পর , ইসলামিক দাতা সংস্থা জামাত-উদ-দাওয়া প্রতিষ্ঠা করেন সাঈদ৷ তাঁর বয়স এখন ৬২৷ তবে সাঈদের মুখপাত্র বলেন, পুরোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে এই দাতা সংস্থার কোন সম্পর্ক নেই৷

সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা এবং ১১-ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর আবারও উত্থান ঘটে৷