1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিদিন ২৪ শিশু ধর্ষণের শিকার!

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২০ জুন ২০১৩

ভারতে নাবালিকা ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তা লজ্জায় গোটা জাতির মাথা হেঁট হবার পক্ষে যথেষ্ট৷ গত ৬ বছরে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী শিশুদের ওপর যৌন নিগ্রহের ঘটনা বেড়েছে ৩০০ শতাংশ৷

https://p.dw.com/p/18tAQ
ছবি: DW/S.Rahman

সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিতে পাঁচ বছরের একটি শিশু পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার হলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঢল নামে৷ অপরাধীকে কঠোরতম শাস্তির দেবার দাবি জানানো হয়৷ জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান তুলে এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস-এর রিপোর্টে বলা হয়, গত দশ বছরে শিশু ও নাবালিকা ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ৪৮৩৩৮টি ঘটনা ঘটে৷ গত বছর, অর্থাৎ ২০১২ সালেই ঘটেছে শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মোট ৮৫৪১টি ঘটনা৷ তার মানে দৈনিক গড়ে অন্তত ২৪টি শিশু যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছে৷ এরকম ঘটনা সবথেকে বেশি হয়েছে মিজোরামে৷ এছাড়া, সাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা তো আলাদা৷

Symbolbild Indien Aberglaube Medizin
প্রতিদিন ২৪ শিশু ধর্ষণের শিকার!ছবি: AP

এই তালিকার শীর্ষে আছে মধ্যপ্রদেশে ৯৪৬৫টি, মহারাষ্ট্রে ৬৮৬৮টি, উত্তরপ্রদেশে ৫৯৪৯টি এবং দিল্লিতে ৩০০০টি৷ অবশ্য এই সংখ্যা হিমশৈলের চূড়ামাত্র৷ নাবালিকা বা শিশুর ওপর যৌন হেনস্থার অনেক বেশি ঘটনা পরিবারের মধ্যেই চেপে রাখা হয় নানা কারণে৷ এইভাবে প্রতিদিন অসংখ্য পরিবারে বা পারিপার্শ্বিকে বিকৃত যৌন নির্যাতনে হারিয়ে যেতে থাকা শৈশবের কথা গোপনই থেকে যায়৷ এই ধরণের ঘটনা পুলিশের কাছে আদৌ পৌঁছোয় না, মনে করেন এসিএইচআর-এর অধিকর্তা৷ তার ওপর ধর্ষণের পর খুনের ঘটনাও আতঙ্কজনক৷ গত বছর এ সংখ্যা প্রায় ১৬০০, যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই খুন হয় ৪৫০ জন নাবালিকা৷

পাঁচ বছরের যে শিশুটিকে কিছুদিন আগে দিল্লিতে ধর্ষণ করে ৪৮ ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল, তার মা-বাবাকে পুলিশ থানায় হয়রানি করায় এবং ডাইরি নিতে গড়িমসি করার অভিযোগে দিল্লির শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন কৈফিয়ত তলব করেছেন দিল্লি পুলিশের কাছে৷ অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে চিকিৎসাধীন শিশুটির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়মিত দেবার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নোটিশও দিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন৷

সমাজবিদদের মতে, শিশুরাই বিকৃতকাম মানুষের সহজ শিকার৷ সারল্যের সুযোগ নিয়ে তাদের সহজে ভোলানো যায়৷ প্রথমত তারা বুঝতে পারে না৷ আর বুঝলেও প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করতে জানে না৷ এজন্য আগাম সতর্কতার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবকদের এবং স্কুল শিক্ষকদের৷ গল্পচ্ছলে শিশুদের এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা গড়ে তোলাও যেতে পারে৷ কোনো আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তির আচরণ অস্বস্তিকর ঠেকলে, তা যেন বাড়িতে মা-বাবাকে জানায় তারা, বলছেন সমাজবিদরা৷