সরকারকে দ্রুত কিছু করতে হবে
১৮ নভেম্বর ২০১৫ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু শরীফ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘‘তরুণরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝোঁকার কারণ হল উচ্চ শিক্ষিত হয়েও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না হওয়া, চাকরি নিতে গেলে অনেক টাকা ঘুস লাগে মেধার কোনো মূল্য নাই, চাকরি নিতে হলে নেতাদের চামচাগিরি করতে হয়, চাকরির ক্ষেত্রে কোঠা বৈষম্য, এ সব নানা কারণে তরুণরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝুকছে৷'' শরীফের ধারণা উপরোক্ত বিষয়গুলোর সঠিক সমাধান করতে পারলে দেশে জঙ্গিবাদ থাকবে না৷
তানভির হোসেন হুশিয়ার করে বলছেন কর্মসংস্থান না বাড়ালে নাকি ঘরে ঘরে জঙ্গি সৃষ্টি হবে৷
বাংলাদেশে জঙ্গি আছে কি নেই – তা নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও জঙ্গিদের নতুন নতুন রূপ আর কৌশল নিয়ে বিতর্ক নেই৷ আর সেকথা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীরাও স্বীকার করছে৷ তবে পাঠক ইয়াকুব আলী ইমরান মনে করেন, সারা বিশ্বের জঙ্গি তৎপরতা সাথে নাকি বাংলাদেশের সাথে জঙ্গি তৎপরতার পার্থক্য রয়েছে৷ সারা বিশ্বে মুসলমান হলেই জঙ্গি আর বাংলাদেশে পায়জামা পাঞ্জিবা পরা সব দাড়িওয়ালারাই নাকি জঙ্গি৷
ইমতিয়াজ হোসাইনও অনেকটা এরকমই মনে করেন৷ ‘‘দাড়ি রাখলে, টুপি পড়লে, নামাজ পড়লে, মসজিদে গেলে, আল্লাহ ও রসুলের পথে চললেই কি জঙ্গি, জামায়াত আর শিবির হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যেতে হবে?
তরুণরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝোঁকার কারণ হিসেবে সাইদুল ইসলাম বাংলাদেশের সরকারকেই এর জন্য দায়ী করছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘সরকার সাধারণ নাগরিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে দিচ্ছে না৷ তাই মানুষ পথ খুঁজছে৷''
অমি নয়ন খান কোনো মতামত না জানিয়ে শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া চাইছেন, যাতে তিনি মুসলমানদের সাহায্য করেন৷
সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সন্ত্রাস আছে৷ সন্ত্রাস বলতে শুধু মুসলিমদের বোঝানো হয় কেন এই প্রশ্ন জাহাঙ্গীর আলমের৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ইলিয়াস ইকরামের মন্তব্য এরকম: ‘‘মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায়, তখন বাঁচার জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা বোধ করে না৷ এর জন্য দায়ী বর্তমান সরকার ও প্রশাসন৷ এ রকম চলতে থাকলে বাংলাদেশে ও একদিন রাশিয়া ও ইরাকের মতোই হবে৷''
বর্তমান পরিস্থতিতে কোনো জামাত-শিবিরের লোককে চাকরি দেওয়া ঠিক নয় – এমনটা মনে করেন পাঠক সবুজ৷ তাছাড়া বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করার জন্য সরকারকে তাড়াতাড়ি কিছু করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেনপাঠক আল-আমিন সবুজ৷
বাংলাদেশের তরুণদের জঙ্গি তৎপরতার দিকে ঝোঁকার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী পুলিশ বাহিনীকেই দায়ী করছেন পাঠক শামীম খান৷
বাংলাদেশের পুলিশের ওপর কোনো আস্থা নেই পাঠক ওবায়দুর রহমানের৷ তাঁর ধারণা, পুলিশরা নাকি ভালো মানুষদের ধরেও তাঁদের জঙ্গি বলেন৷
মো. শামীম হোসেন বলছেন – অধিকার বঞ্চিত মানুষের শেষ রাস্তাই নাকি বিপ্লব৷ তাই শামীমের মতে, অপরাধী নিধনের চেয়ে উত্তম হলো অপরাধের কারণ নির্ণয় করা ৷
অন্যদিকে সাব্বির হোসেন বলছেন, মানুষে মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে নাকি মানুষ উগ্র মনোভাবের হয়ে যায় – এটাই স্বাভাবিক৷ তাঁর প্রশ্ন, বর্তমানে কেউ কি এখন রাজপথে নেমে সরকারবিরোধী কোনো কথা বলতে পারে?
জহিরুল ইসলাম তো সরাসরিই বলছেন, ‘‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জঙ্গি তৈরির কারখানা৷''
শামীম ভুঁইঞা একেবারে নিশ্চিত যে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি বা তালেবান নেই৷ তাঁর মতে, এ সব খবর মিডিয়ার তৈরি, তারা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো তুলে ধরতে চায়৷
‘‘পশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে মুসলিমদের ওপর ক্ষেপে উঠেছে আর মুসলিমরা জঙ্গিদের সমর্থন করছে, তাতে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অবস্থা ভালো কিছু হবে না৷'' – এ মন্তব্য ডয়চে ভেলের ফেসবুক-বুন্ধু পাঠক নিল বিশ্বাসের৷
ওদিকে কামরুল হাসান বলছেন, বাংলাদেশে নাকি প্রচুর জঙ্গি মনোভাবের যুবক আছে, যারা ধর্মের অপব্যবহার করছে এবং এদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ