1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুঃস্বপ্নে ভরা বিমান

২০ মার্চ ২০১২

অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী মোবাশ্বার হাসান৷ সম্প্রতি জার্মানির একটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে তাঁর একটি বই বেরিয়েছে, যার নাম ‘পলিটিক্স অব গ্লোবাল সিভিল এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি’৷

https://p.dw.com/p/14MtW
ছবি: picture alliance/dpa

বিশ্বের বিমান চলাচল ব্যবস্থায় কী ধরণের রাজনীতি বিরাজ করছে এবং এজন্য যাত্রীরা কীভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, সেগুলোই তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে৷ এছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির একটি মডেলও উপস্থাপন করা হয়েছে৷

হাসান বলেন, বর্তমানে কেউ যদি ঢাকা থেকে কলম্বো যেতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কার কোনো একটি এয়ারলাইন্সের টিকিট কাটতে হবে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে কেউ যদি এই দুটি সংস্থার কোনো একটিরও টিকিট না পান, অর্থাৎ তাঁকে যদি অন্য একটি দেশের বিমানে যেতে হয় তাহলে ভোগান্তিতে পড়তে হবে৷ কেননা বর্তমান ব্যবস্থায় তাঁর পক্ষে সরাসরি কলম্বো যাওয়া সম্ভব হবে না৷ তাঁকে ঘুরে যেতে হবে৷ যেমন আমিরাত এয়ারলাইন্স হলে যাত্রীকে দুবাই হয়ে যেতে হবে৷

Mubashar Hasan
মোবাশ্বার হাসানছবি: privat

যাত্রীদের এই ভোগান্তির জন্য বিশ্ব বিমান চলাচলের রাজনীতি দায়ী বলে জানান হাসান৷ তিনি বলেন, বিমান চলাচলের লাইসেন্স, বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা ও কম্পিউটার রিজার্ভেসন ব্যবস্থা কঠিনভাবে রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷

এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার উপায় হিসেবে তিনি ইউরোপকে মডেল হিসেবে দেখিয়েছেন৷ হাসান বলেন, ‘‘ইউরোপে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে চাইলে তৃতীয় কোনো দেশের বিমানে করে সহজেই যাওয়া যায়৷ এক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই৷''

দক্ষিণ এশিয়াতে এই ব্যবস্থা চালু করলে অত্র অঞ্চলের মানুষের অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করেন তিনি৷

হাসান বলেন, ‘‘একটা বিমান একটা দেশের গর্ব৷ কিন্তু বাংলাদেশ বিমান কোনোভাবে আমাদের গর্বিত করে বলে আমি মনে করিনা৷'' এর কারণ তিনটি৷ প্রথমত: দুর্নীতি, দ্বিতীয়ত: যাত্রী সেবার মান৷ আর তৃতীয় কারণটি হচ্ছে দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি - যে কারণে বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিমান চলাচলের সুযোগ করা যাচ্ছে না৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য