খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
১৯ মার্চ ২০১৪
বুধবার বেলা ১টার দিকে খালেদা জিয়া এই দুটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান৷ তবে তার আগেই তাঁর আইনজীবীরা শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করার জন্য আবেদন করেন৷ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় এই আবেদন খারিজ করে দিলে আদালতকক্ষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা হইচই করেন৷ দু'দফা হইচই-এর মুখে বুধবারই অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়া হবে বলে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন৷
এরপর বেলা ২টার দিকে বিএনপিপন্থি চারজন আইনজীবী মামলা থেকে খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদন নিয়ে বিচারকের খাস কামড়ায় যান৷ সেখান থেকে বের হয়ে এসে তাঁরা সোয়া দু'টোর দিকে আবারও বিচারকের কাছ যান৷ এ সময় আরো সময় চেয়ে করা আবেদনটি খারিজ করে আদালত যে আদেশ দিয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার জন্য আবারো সময় চেয়ে আবেদন জানান তাঁরা৷ কিন্তু কোনো আবেদনই আদালত গ্রহণ করেনি৷ দুপুরের পর বিচারক দু'টি মামলায় অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন৷
অভিযোগ গঠনের আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের একজন সানাউল্লাহ মিয়া জানান, ‘‘এই আদালতের প্রতি তাঁদের কোনো আস্থা নেই৷ এই আদালতের কাছে তাঁরা ন্যায় বিচার পাবেন না৷'' তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দু'টি মামলাকেই মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন৷
ওদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেনে, ‘‘এই মামলা দু'টি নিয়ে অনেক সময় নষ্ট করা হয়েছে৷ এর আগেও অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন পিছানো হয়েছে৷ আসামিপক্ষ আসলে মামলা দু'টির বিচার বাধাগ্রস্থ করতেই এই কৌশল নিয়েছিল৷''
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১১ সালের ৮ই আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক-এর সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ৷ এর আগে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই রমনা থানায় খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করা হয়৷ দু'টি মামলায় যথাক্রমে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ মামলা দু'টিতে খালেদা জিয়া এবং তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ মোট আসামি ১০ জন৷