ফুটবলে অশনি সংকেত
২৮ মে ২০১৫ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা-র বার্ষিক সভা হবে শুক্রবার৷ সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখে ফিফার প্রধান কার্যালয়ে হবে এ সভা৷ প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনও হবে একই দিনে৷ এসবের প্রস্তুতি নিয়ে কর্মকর্তারা যখন ব্যস্ত, তখনই তাঁদের কারো কারো ঠাঁই হলো শ্রীঘরে৷ যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে সুইস পুলিশ জুরিখের এক হোটেল থেকে প্রথমে ৭ ফিফা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে৷ এরপর আরো দুজন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ এই ৯ ফিফা কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত প্রায় দু দশকে তাঁরা মোটা অঙ্কের ঘুস নিয়েছেন৷ সম্মিলিত ঘুসের অঙ্কটা অন্তত ১৫০ মিলিয়ন ডলার, বা ১৩৭ মিলিয়ন ইউরো বলে অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে৷
অভিযুক্তদের অনেকে শুরু থেকে নিজেদের নির্দোষ, নিষ্কলুষ দাবি করে আসছিলেন৷ ফিফার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাক ওয়ার্নারও তাঁদের একজন৷ তবে বুধবার তিনি ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগোতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৮ ফ্রান্সকে এবং ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ করে দেয়ার বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে৷
এদিকে প্রভাবশালী ৯ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হওয়ায় ফিফা-র প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারের পদত্যাগের দাবি উঠেছে৷ তবে ব্লাটারের দাবি, তিনি দুর্নীতিতে জড়িত নন, সুতরাং পদত্যাগেরও কোনো সম্ভাবনা নেই৷ এমন কেলেঙ্কারি মাঝেও শুক্রবারের নির্বাচনে ব্লাটারের জয় প্রায় সুনিশ্চিত৷ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) সহ বিশ্বের অনেক ফুটবল সংস্থার কর্মকর্তাই এখনো তাঁর পক্ষে৷ ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ২০৯টি ফুটবল ফেডারেশনের ভোটে বিপুল ব্যবধানেই পুনর্নির্বাচিত হবেন ৭৯ বছর বয়সি ব্লাটার৷
বুধবার ফিফা কর্মকর্তাসহ ফুটবল সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল লরেটা লিঞ্চ বলেন, ‘‘তাঁদের প্রতি সবার প্রত্যাশা ছিল, তাঁরা নিয়ম মেনে, সৎ থেকে ফুটবলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন৷ অথচ তা না করে তাঁরা নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের সম্পদশালী করতে সারা বিশ্বে ফুটবল বানিজ্যকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছেন৷''
এসিবি/এসবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)