দুর্নীতি সামনে এনেছি বলে বিরুদ্ধে প্রচার: বিচারপতি
৩০ আগস্ট ২০২২তার নির্দেশেই পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি, টেট, গ্রুপ সি, ডি, নবম, দশম ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির ও প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্তের সূত্র ধরে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে, তার জেরে পার্থ-অর্পিতা কাণ্ড ও টাকার পাহাড়ের ছবি সামনে এসেছে। তার নির্দেশেই মন্ত্রীর মেয়ের চাকরি গেছে। এহেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে চিঠি দিয়েছেন একদল আইনজীবী। আইনজীবী অরুণাভ ঘোষও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু কথা বলেছেন।
এবার তারই জবাব দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেছেন, দুর্নীতিকে সামনে এনেছেন বলেই তার বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসুমল্লিককে দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে কয়েকজন আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, আমি একটা দলের হয়ে কাজ করছি। তারা এটা লিখলেন না, আমার জন্য কত জন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ জেলে আছেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাকে বলেছিলেন, আপনি কাজ করে যান।
টিভি ৯ জানাচ্ছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ''আমার বেঞ্চে মামলা করার জন্য কাউকে এক টাকাও দিতে হয় না। আমি এগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। বিশ্বব্রতকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, আমি দুর্নীতি সামনে এনেছি, তাই আপনারা আমাকে নিয়ে পড়েছেন। আদালতে অনেক বিচারপতি দেরিতে আসেন। কেউ দুপুর ১২টায় উঠে যান, কেউ দুপুর তিনটেয়। তাদের নিয়ে তো কোনো চিঠি লেখা হয় না!''
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কড়াভাবে বলেছেন, ''আমি এই চিঠি বরদাস্ত করব না। যারা সই করেছেন তাদের বলার সুযোগ দেব। তারপর ক্রিমিনাল কনটেম্পট জারি করব।''
দিনকয়েক আগে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আদালতকক্ষেই উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়। তারপর নাম না করে অরুণাভ ও কয়েকজন আইনজীবী একটি মামলা অন্য বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে মামলা
মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিজেপি আইনজীবী সেলের সদস্য তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের সময় হলফনামা দিয়ে কাজরী বলেছিলেন, তিনি ও তার স্বামী সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ হলো সমাজসেবা। তারপর তাদের কাছে এত সম্পত্তি কী করে এলো, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী তিওয়ারি।
তার অভিযোগ, অনেক সংস্থায় সমীর ও কাজরীর নাম থাকলেও হলফনামায় তার উল্লেখ নেই। ছেলের সম্পত্তির হিসাবও তারা দেননি। তিওয়ারি অভিযোগ করেছেন, রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা অনেক সরকারি সম্পত্তি বাজারের থেকে কম দামে কিনেছেন। ২০১৩ সালে এই সম্পত্তি কিনেছেন তারা।
জিএইচ/এসজি (টিভি৯ বাংলা, নিউজ১৮, আনন্দবাজার)