দুর্নীতি বন্ধ করতে ফিফায় ব্যাপক সংস্কার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬১৭৭ জন সদস্যের ভোটে অনুমোদিত হয়েছে দুর্নীতিরোধকল্পে তোলা বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব৷ ২২ জনের বিরোধিতা এবং ৬ জনের ভোটদানে বিরত থাকা এসব সংস্কার প্রস্তাব অনুমোদনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি৷
সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মূল উদ্দেশ্য ফিফা-কে দুর্নীতিমুক্ত করে কলঙ্কমুক্ত করা৷ ২০১৫ সালের মে মাসে সুইজারল্যান্ডের জুরিখেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ৭ ফিফা কর্মকর্তা৷ সুইজারল্যান্ডের পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে৷ প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যাপক এবং সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে৷ সেই গ্রেপ্তার পর্বের পর থেকে কলঙ্কে আকণ্ঠ ডুবে গেছে ফিফা৷ সাবেক ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটারকে ৬ বছরের জন্য ফুটবলে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে কলঙ্কের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে৷
শুক্রবারের সম্মেলনে সভাপতি থেকে শুরু করে ফিফার উচ্চ পদস্থ প্রায় সব কর্মকর্তারই ক্ষমতা এবং কর্মপদ্ধতির পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়৷ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে সেগুলো অনুমোদিত হয়েছে৷ অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর একটিতে বলা হয়েছে, আগামীতে ফিফা সভাপতি একজন কর্পোরেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের মতো ভূমিকা পালন করবেন৷ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় তাঁর কর্তৃত্ব কমবে, মূল কাজই হবে সংস্থার কর্মকৌশল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া৷
ফিফার নির্বাহী পরিষদও দুর্নীতিতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েছিল৷ সেখানেও আসছে পরিবর্তন৷ ফিফা নির্বাহী কমিটি আগামীতে কাজ করবে ‘ফিফা কাউন্সিল' নামে৷ কর্পোরেট বোর্ডের পরিচালকরা যেমন সীমিত গণ্ডির মধ্যে তাঁদের ক্ষমতা চর্চা করেন, সেভাবেই কাজ করবেন ফিফা কাউন্সিলের কর্মকর্তারা৷ এছাড়া ফিফার মহাসচিব আগামীতে বিশ্ব ফুটবলের সিইও হিসেবে কাজ করবেন৷
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি)