দুর্নীতি ইস্যুতে ফের সংসদ উত্তাল
৮ আগস্ট ২০১১দুর্নীতি ইস্যুতে সংসদের ভেতরে ও বাইরে সরকার ও বিরোধীদের লড়াই তীব্রতর হচ্ছে৷ টেলিকমের পর এবার দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আজ সংসদ তোলপাড়৷ বিজেপি, বামদল ও অন্যান্য দল একযোগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পদত্যাগ দাবি করে৷ কমনওয়েলথ গেমস অর্গানাইজিং কমিটির প্রধান হিসেবে সুরেশ কালমাডির নিয়োগ নিয়ে সংসদে ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন বিবৃতির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনে বিজেপি৷ ঐ বিবৃতিতে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছিলেন কালমাডিকে নিয়োগ করা হয়েছিল বিজেপি-জোট সরকারের আমলে৷
শেষপর্যন্ত সংসদের অধিবেশন সারাদিনের জন্য মুলতুবি রাখতে হয়৷ কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল সংক্ষেপে সিএজি রিপোর্টে কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়৷ যেমন, বেশি দামে টেন্ডার দেয়া হয় এমন ঠিকাদারকে যাঁর ভাবমুর্তি স্বচ্ছ নয়৷
বিজেপি নেতা তরুণ বিজয় বলেন, শীলা দীক্ষিতের এক মুহূর্ত আর মুখ্যমন্ত্রীপদে থাকা উচিত নয়৷ তাঁর জায়গা এখন এ.রাজা আর কালমাডির পাশে৷ দুজনেই এখন জেলবন্দি৷ দুর্নীতির প্রশ্নে কংগ্রেস কর্নাটকের পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার দাবি তুলেছিল অথচ কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরকার চুপ৷ এটা দ্বিচারিতা ছাড়া আর কী ? অভিযোগ বিজেপি'র৷
সিএজির রিপোর্ট সম্পর্কে কংগ্রেসের বক্তব্য,মুল রিপোর্টে শীলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্য করা হয়নি, সারাংশে এক লাইন ছাড়া৷ আইনমন্ত্রী সলমাল খুর্শিদ বলেন, সিএজি রিপোর্ট পরীক্ষা করবে সংসদীয় কমিটি, তারপর সরকার তাঁর অবস্থান স্থির করবে৷
বামদলের পক্ষে সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সিএজি রিপোর্টে যে সব কথা বলা হয়েছে, তাতে স্বাভাবিকভাবে সন্দেহের উদ্রেক হয়৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নামও তাতে আছে কাজেই এবিষয়ে তদন্তের অবকাশ আছে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ