দীর্ঘপথের সাইক্লিস্ট
সাইকেল চালিয়ে মহাদেশ পাড়ি দেয়া প্রথম নারী ফিওনা কলবিঙ্গার৷ চার হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে নিজেকে নতুন পরিচয়ে চেনালেন এই জার্মান ক্যান্সার গবেষক৷ ২৮ জুলাই শুরু হয়ে মঙ্গলবার কলবিঙ্গারের শিরোপা জয়ে শেষ হয় আল্ট্রা ডিসট্যান্স৷
পাড়ি দিতে দিগন্ত
পৃথিবীতে সাইকেল দৌড়ের সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগ ‘আল্ট্রা ডিসট্যান্স’ বা অতিদূর৷ জীবনের প্রথম প্রচেষ্টায় সাফল্য পেলেন ফিওনা কলবিঙ্গার৷ প্রথম নারী হিসেবে এই প্রতিযোগের মুকুট জিতেছেন তিনি৷ আন্তমহাদেশীয় সাইক্লিংয়ের মুকুটটি নিজের করতে পাড়ি দিয়েছেন দুই হাজার ৪৮৫ মাইল পথ৷
আনন্দলোকে, মঙ্গলালোকে
বিজয় মানে আনন্দে মাতোয়ারা৷ আনন্দ ছুঁয়ে গেছে কলবিঙ্গারকেও৷ মঙ্গলবার জয় ছিনিয়ে পর কলবিঙ্গার বলেন, ‘‘যখন প্রতিযোগে নাম লিখিয়েছিলাম, তখন ভেবেছিলাম অন্য নারী প্রতিযোগিদের সঙ্গে থাকবো৷ কিন্তু একবারের জন্যও ভাবিনি আমি জিতে যাবো৷‘‘ রেস চলাকালে ঠিকমতো ঘুমায়নি বেচারি৷
সময়ের যোগফল
বুলগেরিয়ার বুরগাস থেকে শুরু হয় পথ চলা৷ আর ফ্রান্সের বেরেস্টে এসে শেষ হয় যাত্রা৷ পেরিয়ে এসেছেন চার হাজার কিলোমিটারের দীর্ঘপথ৷ পাড়ি দিতে হয়েছে পাহাড়ের দুর্গম পথ৷ যার পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার মিটার৷ সব মিলিয়ে সময় নিয়েছেন ১০দিন, দুই ঘণ্টা ৪৮ মিনিট৷
চলতি পথের আদবকেতা
২৮ জুলাই বুরগাস থেকে যাত্রার শুরুর পর, থামেনি ঘড়ির কাঁটা৷ চলতি পথে যখন যেখানে ইচ্ছে থামতে পারবে প্রতিযোগি৷ বারণ নেই বিশ্রামেও৷ তবে নিজের সঙ্গে যা নিয়েছেন তা দিয়েই চলতে হবে৷ আর পথে যদি দোকান পাট পড়ে সেক্ষেত্রেও বাধা নেই৷ কিন্তু কোনো বন্ধু বা অপরিচিত কারো সহযোগিতা নেয়ার নিয়ম ছিলো না৷ আর উড়নচণ্ডি আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর দায়িত্বটাও প্রতিযোগির নিজেরই নিতে হবে৷
কলবিঙ্গার বৃত্তান্ত
২৪ বছরের এই জার্মান তরুণী ক্যান্সার গবেষণাকে নিজের পেশা হিসেব নিতে চান৷ অবশ্য হাইডেলবার্গে জন্ম নেয়া এই তরুণীর পড়াশোনার পর্বটা এখনো শেষ হয়নি ৷ স্বাস্থ্য সচেতনতা আর পরিবেশ বান্ধব যান বলে সাইকেলকে বেছে নিয়েছেন এই তরুণী৷ সাইকেল এখন তাঁর নিত্যসঙ্গী৷
আল্ট্রা ডিসট্যান্স সাইক্লিং
এবার ছিল এই প্রতিযোগের সপ্তম আসর৷ সব মিলিয়ে এই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন ২৬৫ জন সাইক্লিস্ট৷ সপ্তম আসরে এসে বাজিমাৎ করলেন কলবিঙ্গার৷ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার এই প্রতিযোগ শুরু হয় ২০১৩ সালে৷ ব্রিটিশ সাইক্লিস্ট মাইক হলের হাত ধরে শুরু হয় এই আসর৷ ২০১৭ সাল, অস্ট্রেলিয়া৷ সাইকেল চালানোর প্রতিযোগিতার মধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি৷