দিল্লির বস্তিতে অর্ধাহার, অনাহারের জীবন
লুটিয়েন্স দিল্লির ঝাঁ চকচকে শহুরে জীবন থেকে যে দিকেই চোখ যায়, কিছুদূর এগোলেই দেখা মিলবে অন্য এক রাজধানীর৷ ফুটপাথে, ঝুপড়িতে অথবা বস্তিতে ‘সভ্য সমাজের’ অজান্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে কত শিশু!
ঝুঁকিপূর্ণ জীবন
সড়কের মাঝের ফুটপাথে অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়ে বসবাস করছে ৪ শিশুসহ ১২ জনের এক পরিবার৷ শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব রিতুতেই প্রত্যেকের ঠাঁই এখানেই৷
খোলা আকাশের নীচে
খোলা আকাশের নীচেই ভোর হয়, রাত হয় ওদের৷
ক্ষুধার্ত সন্তান
পালমে বস্তি-সংলগ্ন ফুটপাথে ক্ষুধার্ত সন্তানদের নিয়ে অসহায় এক মা৷
এক হাঁড়ি ভাত
উনুনে এক হাঁড়ি ভাত৷ অপেক্ষায় তখন অনেকগুলো পেট৷
চায় অধিকার
সাগরপুরে ঝুপড়িবাসী ৭৮ বছরর এই ব্যক্তি রেশন কার্ডের পরোয়া করেন না৷ চান না সরকারি সাহায্য৷ সম্মান বিকোতে নারাজ৷ পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের মুখে অন্ন জোগাতে বঁটি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেন তিনি৷
ঝলসানো রুটি
সড়কের ধারে রেডিমেড উনুনে রুটি তৈরি করছেন এক মা৷ ঝলসানো রুটি তাঁর সন্তানদের কাছেও পূর্ণিমার চাঁদ৷
ভিক্ষাবৃত্তি
ভিক্ষাবৃত্তির ভরসায় বেঁচে আছেন অসহায় বিকলাঙ্গ ব্যক্তি৷ ফুটপাথই তাঁর সংসার৷ খাদ্যশস্য জুটলে রান্না হয়, নচেৎ ফাঁকা পড়ে থাকে উনুন৷
৬ ফুট বাই ৪ ফুট
পাশাপাশি দুটি ঘর৷ ঘরের মাপ ৬ ফুট বাই ৪ ফুট৷ জায়গা নেই, তাই ঝুপড়ি ঘরের বাইরেই দিনের যাবতীয় কাজ সারেন তাঁরা৷
নেই সরকারি সাহায্য
দক্ষিণ দিল্লির পালম বস্তির দোতলায় দুই ভাই-বোন৷ বাঁশেই মই বেয়ে ওঠা-নামা৷ নীচে বাড়ির বড়রা৷ ওদের রেশন কার্ড নেই৷ তাই নেই সরকারি সাহায্যও৷