সন্ত্রাসী হামলা
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২নতুনদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ইসরায়েলি দূতাবাসের গাড়িতে যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, তাতে পুলিশের মতে ম্যাগনেটিক বোমা ব্যবহার করা হয়৷ এতে চারজন আহত হন, তারমধ্যে একজন দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাশের স্ত্রী৷ বর্তমানে তিনি হাসপাতালে৷ তাঁর বিপদ এখনো পুরোপুরি কাটেনি৷
আজ নিরাপত্তা বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদামবরম এই ঘটনার তীব্র নিন্দা কোরে বলেন, এটা সন্ত্রাসী হামলা এবংবিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাজ৷ প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাশের স্ত্রীই হামলার লক্ষ্য ছিল৷ তবে এই মুহূর্তে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছিনা৷
ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন যুবক মোটরসাইকেলে পেছন দিক থেকে এসে ট্রাফিক সিগনালে দাঁডানো দূতাবাসের গাড়ির পেছনের দরজায় কিছু একটা আটকে দিয়ে পালিয়ে যায়৷ পর মুহূর্তে সেটা বিস্ফোরিত হলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়৷ সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষায় অবশ্য চালক বা মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট পরিষ্কার বোঝা যায়নি৷ মোটরসাইকেল ও তার চালককে ধরার জন্য বিশেষ টিম নামানো হয়েছে৷
এই ঘটনাকে কেন্দ্র কোরে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হয়েছে দোষারোপ ও পাল্টা দোষারোপ৷ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানইয়াহু এজন্য ইরানের সমর্খনপুষ্ট হেজবোল্লা জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন৷ অন্যদিকে ইরানের অভিযোগ, বন্ধুদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার উদ্দেশ্যে ইসরায়েল নিজেই এটা করিয়েছে৷ নতুনদিল্লি বলছে, উভয় দেশের সঙ্গেই ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা ইজরায়েল সরকারকে আশ্বাস দিয়েছেন, যেভাবেই হোক, অপরাধীকে বিচারের কাঠগোড়ায় আনা হবে৷
সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশের হাত থাক বা না থাক, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এতে যুক্ত৷পুলিশ ইতিমধ্যে, ভারতে ইরানিদের পাশপোর্ট খতিয়ে দেখছে৷ বিভিন্ন হোটেলের রেজিস্ট্রি পরীক্ষা করছে৷ ইসরায়েলি দূতাবাস ও অন্যান্য দূতাবাসের চারপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক