আদালতে ধীর গতি
৯ আগস্ট ২০১৩সে সময় ঘটনাটি নিয়ে পুরো ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়৷ আর সেই বিক্ষোভের মুখেই মামলাটি বিশেষ দ্রুত বিচার আদালতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার৷ তবে ভারতে যেখানে সাধারণ একটি অপরাধের বিচার করতে ১০ বছরেরও বেশি সময় লাগে, সেখানে এই মামলাটি দ্রুত শেষ করার আশা বাহুল্য মাত্র৷ ঘটনার সাত মাস পেরিয়ে গেলেও বিশেষ দ্রুত বিচার আদালতে এখনও মামলাটির কাযর্ক্রম চলছে৷ ১০০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রতিদিন অন্তত একজনের সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে এবং দুই ঘণ্টা পরেই স্থগিত হয়ে যাচ্ছে আদালতের কাযর্ক্রম৷
১২ কোটি মানুষের দেশ ভারত৷ কিন্তু প্রতি কোটি মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র ১১ জন বিচারক৷ সুতরাং এই বিচারক সংকটের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে কোটি কোটি মামলা ঝুলে থাকছে আদালতে৷ যার মধ্যেই বেশিরভাগেরই মীমাংসা হতে লেগে যাচ্ছে বছরের পর বছর৷ অথচ যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র এক কোটি মানুষের জন্য রয়েছে মোট ১১০ জন বিচারক৷
এ কারণেই ২০০৯ সালে ভারতের আইন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ে একটি সংস্কার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল৷ বিচারের সময় নির্ধারণ, বিচারক বাড়ানোসহ বেশ ধরণের প্রস্তাব ছিল এতে৷ তবে নানা কারণে প্রস্তাবটির বাস্তবায়ন আর করা হয়ে উঠেনি৷
গত মাসে শুনানির শেষ সময়ে ঐ ধর্ষণ মামলাটির দুই অপরাধীর আইনজীবী দাবি করেন যে, তৃতীয় অপরাধী তার বক্তব্য পরিবর্তন করেছে৷ অথচ গত মাসেই এ মামলাটির চূড়ান্ত রায় ঘোষণার কথা ছিল৷ অবশ্য সরকারের চাপ থাকার কারণে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বিষয়ক দ্রুত বিচার আদালতে প্রথম মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ এ মাসেই শেষ হবে এবং আগামী মাসে চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা৷
ওদিকে, মামলাটির ধীরগতির জন্য প্রতিরক্ষা দলকেই দুষছেন আইনজীবীরা৷ অপরাধ বিষয়ক আইনজীবী রেবেকা জন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি-কে বলেন, ভারতের পুরো আইন ব্যবস্থায় পরিবতর্ন আনা দরকার এবং সব মামলার কার্যক্রম দ্রুত বিচার আদালতেই হওয়া প্রয়োজন৷ এখানে একটাকে দ্রুত বিচার আদালতে নেয়া হলে বাকি মামলাগুলো আরো ধীর গতিতে চলতে থাকবে৷
এপিবি/ডিজি (এপি)