দায়িত্বে ফিরেছে পুলিশ
১২ আগস্ট ২০২৪সোমবার সকালে রাজধানীর বাংলা মোটর, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেইট এবং মহাখালীতে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
কোনো কোনো জায়গায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা এখনও আছেন। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় তাদের সংখ্যা কম।
এর আগে, রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। তারপর সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোয়াইব হাসান আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছেন।
ডিডাব্লিউর কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে তারা বলেছেন, 'সরকারের কাছে যেসব দাবি জানিয়েছিলাম তার বেশিরভাগই মেনে নেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি। আশা করি সবাই সুন্দরভাবে নিজদের দায়িত্বে ফিরবেন।'
বৈঠকে বাংলাদেশেরস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, বিজিবির মহাপরিচালক, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক-সহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে আন্দোলনকারী পুলিশ কর্মীদের বলা হয়, তাদের কিছু দাবি খুব কম সময়ের মধ্যে মানা হবে। কিছু দাবি দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে মানা হবে। পুলিশের উপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা পুলিশ কর্তাদের জানাতে হবে। পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগো বদলের সিদ্ধান্তও হয়েছে।
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, ''পুলিশ কর্মীরা যে দাবিদাওয়া পেশ করেছে, সেগুলো যৌক্তিক। তাই আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আমরা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে তাদের দাবিগুলো মেনে নেব। কিছু দাবি আমরা এখনই মেনে নেব।'''
আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের দাবি ছিল, পুলিশ কর্মী ও পুলিশি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, পুলিশের নিয়োগ বিধিমালা বিশেষত সাব-ইন্সপেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগ পিএসসির অধীনে এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে কনস্টেবল নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি।
জিএইচ/এসজি(দ্যডেইলি স্টার, প্রথম আলো)