‘দাদাবাবুর মত লোকই হয় না’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩প্রণবের স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি'র ছোট ভাই কানাইলাল ঘোষ থাকেন সেখানে৷ ডয়চে ভেলেকে কানাইলাল ঘোষ বলেন, ‘‘দিদি আর দাদাবাবু আসবেন, তাই আমরা ভীষণ আনন্দিত ও গর্বিত৷ শুধু আমি নই আমার গ্রামবাসী, সমগ্র নড়াইলের লোকজন সবাই আনন্দিত৷''
প্রণব মুখার্জির স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জিরা ৪ ভাই ৪ বোন৷ এর মধ্যে সবাই ভারত চলে গেলেও একমাত্র ছোট ভাই কানাইলাল ঘোষ পৈতৃক বাড়িতে থেকে যান৷ তবে দিদির সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ হয় বলে জানালেন কানাইলাল৷
বিয়ের পর সবশেষ ১৯৯৬ সালে দিদি শুভ্রা গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে শর্মিষ্ঠা, ডাক নাম মুন্নি'কে নিয়ে৷ কানাইলালও তাঁর পরিবার নিয়ে বেশ কয়েকবার গেছেন দিদির বাড়িতে৷ তবে সময় ও সুযোগের অভাবে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এখনও জামাইবাবুর বাড়িতে যাওয়া হয়নি বলে জানান তিনি৷ ‘‘আমার বাড়িতে আমগাছ, কাঁঠালগাছ, নারিকেল, সুপারি গাছ এসব চাষবাস সব আমারই দেখাশুনা করতে হয়৷ তাই সময় পাইনি৷''
কানাইলাল বলেন, তাঁর দিদি ও প্রণব মুখার্জী প্রায় চল্লিশ মিনিট থাকবেন বাড়িতে৷ এ সময় কীভাবে তাঁদের আপ্যায়ন করবেন জানতে চাইলে কানাইলাল বলেন, কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে খাবারে ব্যবস্থা করা হবে৷ তবে তারপরও গাছের ডাব সহ অন্যান্য খাবারের আয়োজন করে রাখা হবে৷ যদি তাঁরা ইচ্ছা করেন, খাবেন৷ কেননা এর আগে দিদি যখন বাড়িতে এসেছিলেন তখন মিষ্টি আর ডাবের পানি খেয়েছিলেন বলে জানান কানাইলাল৷
জামাইবাবু হিসেবে প্রণব মুখার্জি কেমন জানতে কানাইলাল বললেন, ‘‘ওরে বাবা..আপনি বিশ্বাস করবেন না আমার দিদির চেয়েও জামাইবাবু বেশি উদার৷ আমার মা থাকতেন কলকাতার কাছে ভাণ্ডারহাটি এলাকায়৷ সেখানে আমি প্রায়ই যেতাম৷ তখন দিদি আর জামাইবাবুও যেতেন৷ আমরা তিনজন হাত ধরাধরি করে ঘুরে বেড়াতাম৷ আমার দাদাবাবু অমায়িক লোক৷ ওনার মতো লোক হয়না৷''
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন