দলে আফ্রিকান ও আরবদের সংখ্যা কমানো হোক: ফ্রান্সের কোচ
১০ মে ২০১১ফুটবল জগত আজ বেশ ‘রঙিন' হয়ে উঠেছে৷ ক্লাব পর্যায়ে তো বটেই, কোনো দেশের জাতীয় দলেও এমন সব খেলোয়াড়দের দেখা যায়, যাদের পূর্বপুরুষরা এসেছেন অন্য কোনো দেশ থেকে৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণ সেখানে বিবেচ্য নয় – নাগরিক হিসেবে একই জাতীয় পতাকার নীচে তারা খেলেন একই দেশের জন্য৷ প্রথম দিকে বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পেলেও আজ সেই আড়ষ্টতা অনেকটাই কেটে গেছে৷
কিন্তু ফ্রান্সের জাতীয় দলের কোচ লোরঁ ব্লঁ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন৷ তাঁর প্রস্তাব, জাতীয় দলে কোটা বা সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হোক, যাতে বিদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ের সংখ্যা সীমিত রাখা যায়৷ ফুটবল সংগঠনের এক বৈঠকে তিনি বিশেষ করে আফ্রিকা ও আরব খেলোয়াড়দের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন৷ আপত্তির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এরা যে কখন কোন দেশের হয়ে খেলবে তা বলা কঠিন৷ উদাহরণ হিসেবে ব্লঁ মনে করিয়ে দেন, যে সম্প্রতি কিছু খেলোয়াড় ফ্রান্সের ফুটবল অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রান্সের যুব দলে খেলেও পরে নিজেদের মূল দেশের জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন৷
১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের যে জাতীয় দল বিশ্বকাপ জয় করেছিল, তার মূল তারকারাই ছিলেন জিনেদিন জিদানের মতো বিদেশি বংশোদ্ভূত৷ তাদের অনেকেই লোরঁ ব্লঁ'র প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ সোমবার অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশন ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা লোরঁ ব্লঁ'কে জেরা করেন৷ ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে খেলোয়াড়দের বিদ্রোহের পর থেকেই ফ্রান্সের জাতীয় দল একের পর এক সংকটের মুখে পড়েছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম