‘জনমত আরো বাড়াবো আমরা’
২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সম্মেলন, বিএনপির কর্মসূচির জবাবে আওয়ামী লীগ কী ধরনের কর্মসূচি দেবে – এ সমস্ত বিষয়ে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব-উল-আলম হানিফ৷
ডিডাব্লিউ: পৌর নির্বাচনের পরই নতুন বছর শুরু হচ্ছে৷ নতুন বছরে আওয়ামী লীগের প্লানিংটা কী রকম?
স্বাধীনতার পর দেশের ৪৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল৷ এ সময়ে মানুষের যে স্বপ্ন, যে চেতনা থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছিল ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত একটা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার – সেটা থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে গিয়েছিল৷ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷ আমাদের লক্ষ্য একটাই, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে আমাদের কাঙ্খিত স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার৷
সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ছিল ৫ জানুয়ারি৷ এই ৫ জানুয়ারি ঘিরে বিদায়ী বছর বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি দিয়েছিল আমরা দেখেছি৷ এতে কী হয়েছে দেশে সেটাও দেখেছি৷ এবার তারা এখনও কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি৷ তবে ভবিষ্যতে তারা যদি কোনো কর্মসূচি দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী হবে?
দেখুন, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি তথাকথিত অবরোধের নামে বাংলাদেশের জনগণের উপর যে ধরনের সন্ত্রাস চাপিয়ে দিয়েছিল, যে রকম নাশকতা কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এর জন্য বাংলাদেশের জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে৷ আমার বিশ্বাস, বিএনপি তার অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এই ধরনের নাশতামূলক বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো কর্মসূচি আর দেবে না৷
কিন্তু এরপরেও যদি একই ধরনের কর্মসূচি আসে, তাহলে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী হবে?
আমরা সন্ত্রাস ও নাশকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই৷ আমরা জনগণকে নিয়ে যেভাবে ৯০ দিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করেছি, ভবিষ্যতে এমন কর্মসূচি আসলে সেটাও কঠোর হস্তে দমন করা হবে৷
সামনের বছরটি নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা, চেয়ারপার্সন থেকে শুরু করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব – সকলেই বলছেন যে, নতুন বছরটি দল গোছানোর কাজে তারা ব্যবহার করবেন৷ তাঁরা তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দল গোছাতে চান, মানুষের কাছে যেতে চান৷ এ রকম কর্মসূচির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কী করতে চায়?
আমরা আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রে এসে একটা ‘সেন্ট্রাল কাউন্সিল' করি৷ বর্তমান আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ ডিসেম্বরেই শেষ হচ্ছে৷ তাই খুব দ্রুতই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকে সময় বাড়াব৷ আমাদের লক্ষ্য, নতুন বছরে শুরুতে, অর্থাৎ আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল শেষ করার৷ ইতিমধ্যে তৃণমূল থেকে কাউন্সিল করেছি৷ তাছাড়া জেলা পর্যায়ের কাউন্সিলও প্রায় শেষ পর্যায়ে৷ আর মাত্র দু-চারটা জেলা বাকি আছে, যেটা আমরা আগামী মাসের মধ্যেই করতে সক্ষম হবো৷ আমাদের লক্ষ্য থাকবে, আমাদের পক্ষে যে জনমত আছে, সেটা আরো বাড়িয়ে নেয়া৷
প্রিয় পাঠক, গত দু’বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকে আপনি কীভাবে দেখছেন? মন্তব্য জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে...